কোভিশিল্ডের পর করোনারোধী আরও একটি ভ্যাকসিন আনার তোড়জোড় শুরু করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই করোনার দ্বিতীয় এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে আশাবাদী সিরাম। এর নাম দেয়া হয়েছে কোভোভ্যাক্স। সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন বানাচ্ছে একটি মার্কিন কোম্পানি। ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরুও হয়ে গেছে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নতুন এই ভ্যাকসিন করোনার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেনের ধরনের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এর কার্যকারিতা ৮৯ শতাংশ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে করোনার প্রথম ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড প্রস্তুত করেছে সিরাম ইন্সটিটিউট। ভারতে এখন যে দুটি করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে কোভিশিল্ড অন্যতম। এছাড়া একাধিক দেশেও সিরামের তৈরি কোভিশিল্ড পাঠিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার পুণে হাসপাতালে এর ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
দিল্লির হামদর্দ ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চও এই ট্রায়ালের অংশ। দেশের ১৯টি স্থানে এই ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। ১ হাজার ১৪০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে হবে এই ট্রায়াল। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার যে বিভিন্ন রূপ দেখা দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে কোভোভ্যাক্স।
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেনে এর তিনটি ট্রায়াল হয়েছে। সেখানে কোভোভ্যাক্স ৯৬ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে উদ্ভুত করোনার নতুন ধরনের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। তবে এক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ৮৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এই ভ্যাকসিনের ২টি ট্রায়াল হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা অনেকটাই কম। সেখানে মাত্র ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ কার্যকর।
ভারতে এখন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। ৬০ বছরের বেশি এবং ৪৫ বছরের ওপর যারা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন তাদের করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে প্রত্যেককেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।