প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিষ্ঠাকাল হতে র্যাব ফোর্সেস দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত উন্নয়ন ও টেকসই জননিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করতে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি, অরাজকতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের দৃপ্ত ও দৃঢ় অঙ্গীকারের সফল ও সার্থক বাস্তবায়নকল্পে দুর্নীতিবাজ ও ত্রাস সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করে চলেছে এ বাহিনী। সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন জনপদসমূহকে সন্ত্রাস ও দস্যুমুক্ত করে স্থানীয় মানুষের ও বিরল জীব-বৈচিত্র্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনধারায় প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম করার ক্ষেত্রে র্যাব ফোর্সেস স্থাপন করছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় মৌলবাদের মূলোৎপাটন, অবৈধ মাদক, মরণাস্ত্রের ব্যবহার ও বাণিজ্য নির্মূলীকরণ, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা দমন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেজাল খাদ্যদ্রব্য এবং মানহীন, নকল ও অবৈধ ওষুধের অপবাণিজ্য প্রতিহতকরণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া রোধকরণসহ বিভিন্ন সমসাময়িক আর্থ-সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে অবিরাম অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধ দমনে র্যাব ফোর্সেস কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, অপরাধমুক্ত প্রগতিশীল আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে র্যাব ফোর্সেস তার কর্মপ্রচেষ্টাকে প্রতিনিয়ত শাণিত করছে। আর তাই র্যাব ফোর্সের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও গুণগত উৎকর্ষতা সাধনে আমাদের সরকার গ্রহণ করেছে বহুমাত্রিক কর্মপরিকল্পনা।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক, উন্নত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে র্যাব ফোর্সেস তার আগামীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে- এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।