বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা ও স্বভাব নেতা-বিএমপি কমিশনার

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

আজ বুধবার, ১৭ মার্চ সকাল ১১ ঘটিকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর আয়োজনে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বিএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, বিপিএম-বার।

এ-সময় তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা ও স্বভাব নেতা।

ক্ষণজন্মা এ মহান নেতা তার কর্ম ও দেশপ্রেমের মধ্য দিয়ে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতই বাঙালি জাতির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন, জাতীয়তাবোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে বাঙালিকে এক সুতোয় বেঁধে মুক্তির জন্য স্বাধীনতার জন্য তৈরি করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকায় ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে তার বজ্রকন্ঠের ভাষণ ও তর্জনীর ইশারায় মন্ত্রমুগ্ধের মত বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

যেখানেই তিনি বঞ্চনা ও মানবিকতার বিপর্যয় দেখেছেন, সেখানেই দেশপ্রেম ও মমত্ববোধ নিয়ে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

নিজের পরিধেয় একমাত্র জামাটি ও খুলে দিয়েছেন বঞ্চিত মানুষ কে। তার এমন মানবিকতা ও মমত্ববোধের অসংখ্য উদাহরণ তার জীবনী পর্যালোচনায় দেখা যায়।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিজীবনে যে মানবিকতা ধারণ করতেন, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে আমরা যত বেশি চর্চা করব, আলোচনা করব, গবেষণা করব, ততই আমরা আরো বেশি সমৃদ্ধ হব।

শুধুমাত্র একটি পতাকা ও একটু ভূখণ্ডের মধ্য দিয়েই তিনি মুক্তির কথা বলেননি বরং চিন্তা চেতনা ও মননে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ একটি প্রযুক্তিনির্ভর, ঐক্যবদ্ধ অগ্রসর সোনার বাংলা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে সগর্বে এগিয়ে চলার কথাই তিনি বলেছেন।

এসময় তিনি জাতির পিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সহ সরকারি সকল সেবা সংস্থা এবং সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালন করে একটি দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য যে এসময়ে কেক কেটে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয় এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মানীত প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার (অতিঃ সচিব) মোঃ সাইফুল হাসান বাদল।

বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস, সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, বরিশাল জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার,

বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন-পিপিএম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক, বীর প্রতিকসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোর, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ সকল শ্রেণী-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।