বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাব বিবেচনায় সময় নেবে শ্রীলঙ্কা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব বিবেচনা করতে সময় নিচ্ছে শ্রীলঙ্কার সরকার। মঙ্গলবার লঙ্কান সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রাম্বুকভেল্লা এ কথা জানিয়েছেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

গত শনিবার শ্রীলঙ্কার জননিরাপত্তা মন্ত্রী সারাথ ভিরাসেকারা বলেছিলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তাজনিত’ কারণে মুসলিম নারীদের পুরো মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করতে একটি প্রস্তাবে সই করেছেন। প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

তবে মঙ্গলবার কেহেলিয়া বলেছেন, বোরকা নিষিদ্ধের বিষয়টি একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত, যার জন্য আরও পরামর্শ ও ঐকমত্যের প্রয়োজন।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এটি সবার সঙ্গে পরামর্শ করে করা হবে। এর জন্য সময় প্রয়োজন। তবে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি লঙ্কান সরকারের এ মুখপাত্র।

এর আগে, এক পাকিস্তানি কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ বোরকা নিষিদ্ধে শ্রীলঙ্কার সরকারের প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সাদ খাত্তাক গত সোমবার এক টুইটে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাতের কারণ হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি আহমেদ শহীদ টুইটারে বলেছেন, বোরকা পরায় নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় বিশ্বাস ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

শ্রীলঙ্কায় ২০১৯ সালে ইস্টার সানডেতে একাধিক চার্চ ও হোটেলে বোমা হামলায় ২৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর দেশটিতে বোরকা পরা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি শুধু বোরকা নিষিদ্ধই নয়, এক হাজারের বেশি মাদরাসা বন্ধেরও উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এসব মাদরাসা সরকারের নিবন্ধিত নয় এবং জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করে না।

২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কার ৭০ শতাংশ মানুষই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সেখানে তামিল জাতিগোষ্ঠীর লোক রয়েছে ১৫ শতাংশ, এদের বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। দেশটিতে বসবাসকারী নয় শতাংশ মুসলিম স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যালঘু।