দীর্ঘ এক বছর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পর শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের সামনে আসেন তিনি।
সাধারণত বিদেশ সফর থেকে ফিরে অথবা বিশেষ কোনো জাতীয় ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা তুলে ধরেন দেশের নানা সমস্যা ও অসঙ্গতি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসতে নানা চড়াই-উৎরাইয়ের গল্প তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’
এদিন বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনের উপস্থাপনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এ সময় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। পরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেখ হাসিনা।
লিখিত বক্তব্যের পর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক নির্যাতন, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমদের মৃত্যু, আল জাজিরার বহুল আলোচিত প্রতিবেদন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেসবের জবাবে দেশের ইতিহাসের ফেলে আসা দিনগুলোর বাস্তব চিত্র টেনে পাল্টা প্রশ্ন করেন এবং উন্নয়ন-অর্জনের চিত্র তুলে ধরেন।
কাতার-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় সম্প্রতি বাংলাদেশকে নিয়ে প্রচারিত তথ্যচিত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল-জাজিরা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কিছু বলারও নেই। একটি চ্যানেল কী করছে না করছে, দেশবাসী বিচার করে দেখবে। কোন চ্যানেল কী বলল না বলল, সেটা শুনে রাজনীতি করা আমার কাজ না। যার যা বলার, বলতে থাকুক। বলাটাই তাদের কাজ। আর জনগণের জন্য করাটা আমার কাজ।’
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এই দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভালো চাকরি দেয়া হয়েছে, সংসদে বসানো হয়েছে, মর্যাদা দেয়া হয়েছে। যারা এগুলো করেছে, তাদের সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কী?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সন্তান হিসেবে যখন সরকারে এসেছি, মা-বাবার হত্যার বিচার পেয়েছি। ইনডেমনিটি বাতিল করে জাতির জনকের খুনিদের বিচার করা হয়েছে।’
একাত্তরের মানবতাবিরোধী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের বিচার হয়েছে। এই যে যাদের বিচার হয়েছে, তাদের পরিবার, সাজাপ্রাপ্ত আসামির দোসর যারা, তারা বসে থাকবে নাকি? তাদেরও তো কিছু ইন্ধন আছে।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের অদ্ভুত একটা মিথস্ক্রিয়া আছে। ‘আল্ট্রা লেফট, আল্ট্রা রাইট’ এরা সব এক হয়ে যায়। আমাদের অপরাধ কী? সেটাই প্রশ্ন।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। এরপর সবকিছু সামাল দিয়ে সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কি সহজ কাজ? তারপরও করেছি। আজ এই যে স্বীকৃতি পেয়েছি, সেটি ধরে রাখতে হবে। এই অর্জন স্থায়ী করতে হবে, টেকসই করতে হবে। তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে, পরিকল্পনাও আছে। সেগুলো ঠিকঠাক করেই কাজ করব।’
সমালোচকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, আমাদের হত্যার চেষ্টা করেছে, দেশকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে শুধু নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত ছিল, তারা দেশের উন্নতি মানবে কীভাবে? তবে আমার চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। সবকিছু মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।’
করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি, আরও তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য। যাতে করে আমাদের যেটা আছে, সেটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই যেন আবার টিকা আমাদের হাতে এসে যায়। প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ আমরা শুরু করব। একটা মানুষও যাতে এই টিকা থেকে বাদ না যায়, তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’
সবাই যাতে টিকা নেয়, সেজন্য গ্রাম পর্যন্ত প্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া- এটা তো আমার কর্তব্য, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু না, আমি জাতির পিতার কন্যা, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই হিসেবে আমি মনে করি, আমার এটা কর্তব্য, আমরা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী নিজে কবে টিকা নেবেন, এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি টিকা অবশ্যই নেব, কিন্তু তার আগে দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ নিতে পারল, কতজনকে দিতে পারলাম, সেটা আমি আগে দেখতে চাই। কারণ আমার একটা টিকার জন্য যদি আরেকটা মানুষের জীবন বাঁচে সেটাই তো সবচেয়ে বড় কথা, তাই না?’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ হচ্ছে নাকি অপপ্রয়োগ হচ্ছে তা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। এটি আপেক্ষিক বিষয়। আইন নিজ গতিতে চলছে এবং চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধ না করে তাহলে আইনে তার সাজা হবে না। কিন্তু এটাও দেখতে হবে কেউ এমন কোনো কাজ করছেন কি না, যে কারণে দেশের ক্ষতি হচ্ছে, জনগণের ক্ষতি হচ্ছে।’
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছিল বলেই আমরা অর্থনীতির চাকাটি গতিশীল রাখতে পেরেছি। এই যে মহামারি চলছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পেরেছি বলেই মহামারির মধ্যেও আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। কিন্তু কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করাও কাম্য নয়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সমালোচিত হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়ে তুলেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়াটাও আমাদের কাজ। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, কেউ যেন এমন কোনো কাজ করতে না পারে যা দেশের ক্ষতি করে, দেশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারাগারে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তেমন কিছু তো ঘটেনি! কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে? তবে কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। আবার কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করাও কাম্য নয়।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন তো ২০২৪ সালে। তখন সিদ্ধান্ত নেব কী করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করবে। এই অর্জনকে ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবিলা করতে পারি, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রয়োজনীয় সূচকগুলো ধরে রাখতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে যা যা করা দরকার, আমি করতে প্রস্তুত।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলাদেশে এমন মানুষ ছিল, যাদের কোনো আশা-ভরসা নেই, হাত পেতে চলতে হয়। তাদের জন্য আমরা ঠিকানার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুজিববর্ষে এটিই সবচেয়ে বড় কাজ। ওই ঠিকানাই তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আমরা মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি। ওই সময় আমার ১৯৭১ সালের কথা মনে হয়েছে, যখন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বহু বাংলাদেশিকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ভারতে। ওই সময় আমার ছোট বোন রেহানাও বলেছিল, ‘তুমি ১৬ কোটি মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করো, ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না?’ তাই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের প্রত্যাবাসনে কাজ চলছে।
এদিকে, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার কৃতিত্ব জনগণকে দিয়ে সরকার প্রধান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বাংলাদেশের একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সুসংবাদ দেয়ার জন্য। বাংলাদেশ গতকাল (শুক্রবার) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।
লক্ষ্য অর্জনের এই সময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি; আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ওই সময়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭।
শেখ হাসিনা বলেন, এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া এই দেশকে বুঝতে আর্থিক এবং অন্যান্য সূচকগুলোর দিকে সবাইকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য বলেন তিনি।
খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি উৎপাদনেও স্বয়ং-সম্পূর্ণ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সুবিধা শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়েও বিস্তৃত হওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথাও তিনি বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তি এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। এটি প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে জানান তার ছোটবোন শেখ রেহানা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিকে খবরটি জানানোর আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।