পালং ও লাল শাকে শহীদ মিনার গড়ে কৃষকের শ্রদ্ধা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পালং ও লাল শাক দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়েছেন কৃষক রুমান আলী শাহ্। জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে দৃষ্টিনন্দন এ স্মৃতির মিনার দেখতে ভিড় করছে শত-শত মানুষ।

নিজের এক একর ১৪ শতাংশ জায়গায় ‘কৃষিক্লাব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন রুমান আলী শাহ্। খামারের ভেতরে ৬ শতাংশ জমিতে পালং শাক এবং লাল শাক দিয়ে শহীদ মিনার, বর্ণমালা ও অতুল প্রসাদ সেনের বিখ্যাত বাণী এঁকে এলাকায় তাক লাগিয়ে দেন। লাল-সবুজের মিশ্রনে শহীদ মিনারে লাল শাক দিয়ে লাল বৃত্ত ও পালং শাক দিয়ে শহীদ বেদী তৈরি করেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশের ইতিহাস তুলে ধরতে এর আগেও সবজি দিয়ে দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা অংকন করেছিলেন এই কৃষক।

এ বিষয়ে কৃষক রুমান আলী শাহ্ বলেন, ‘মার্চে মহান স্বাধীনতা দিবসেও সবজি দিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অংকন করা হবে। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে আর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানাতে এ প্রয়াস ‘

কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছির মিয়া বলেন, ‘দেশ প্রেমিক এ কৃষক শাক দিয়ে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। এ জন্য তাকে উপজেলা পরিষদ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে কাটিয়ে দেশে ফিরেন আসেন রুমান আলী শাহ্। নিজের জমিতেই গড়ে তোলেন ‘মিশ্র বহুমুখী খামার বাড়ি’। খামার বাড়ির প্রতিটি প্রকল্প সাজানো হয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্ল্যাকার্ড দিয়ে।

খামারে মাটিবিহীন ঘাস উৎপাদনের প্রকল্পে লেখা-‘মাটি বিহীন ঘাসের চাষ করুন, সুস্থ সবল খামার গড়ুন’। দেশি মুরগির খামারের লিখে রেখেছেন-‘দেশি মুরগির যত্ন নিন, আসবে টাকা হবে না ঋণ’। কবুতরের খামারে লিখেছেন-‘কবুতরের যত্ন নিলে, ৩০ দিন পরপর বাচ্চা মিলে’। গাভীর খামারে লিখেছেন- ‘গাভী ছাড়া উপায় নাই, দুধের বিকল্প কিছু নাই’। মাছের প্রজেক্টে লেখা- ‘মাছ খাবে পোকা, কৃষক খাবে না ধোঁকা’ এমন অসংখ্য প্লেকার্ড দিয়ে সাজিয়েছে পুরো খামার বাড়িটি।’