চকলেট ডে-তে কয়েকটি মজার তথ্য

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ভালোবাসার সপ্তাহ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ থেকে, যা শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের মাধ্যমে। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি হলো ‘চকলেট ডে’। দিনটি ভ্যালেন্টাইন’স সপ্তাহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। চকলেট যেমন অভিমান ভাঙতে পারে, তেমনই পারে সম্পর্ক মধুর করতে।

চকলেটের স্বাদ প্রথম পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার মায়া সভ্যতা। নামটিও এসেছে তাদের ভাষার ‘স্কোকোলেট’ থেকে। যার অর্থ অম্ল পানীয়। কোকো গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত চকলেট গোড়ার দিকে মূলত পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সে আমলে অনেকে আবার এটি রান্নার মসলা হিসেবেও ব্যবহার করতেন। তখন কেবল মায়া রাজ পরিবারের সদস্য, প্রশাসক, ধর্মগুরু, সৈনিক এবং সম্মানীয় বণিক সম্প্রদায়ই একমাত্র এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারতেন।

 

পরে মায়াদের কাছ থেকে চকলেটের ব্যবহার শিখে নেয় আজটেকরা। তাদের আরাধ্য দেবতা কোয়েটজালকটলই নাকি এই কোকো গাছ পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। এই গাছের ফল খেলে সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতা দুই-ই জয় করা যায়- এমনই বিশ্বাস ছিল আজটেকদের।

আধুনিক চকলেটের প্রথম কারখানা গড়ে ওঠে স্পেনে। জানা যায়, জর্জ ক্যাডবেরি (জুনিয়র) স্পেন থেকে ক্যাডবেরি বারের রেসিপি শিখে এসে প্রথম এটি তৈরি করেন ১৯০৫ সালে। বর্তমানে চকলেট দুনিয়ার অনেক দেশেই বিখ্যাত। এদের মধ্যে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি চকলেটের জন্য বেশি বিখ্যাত। নিউহস, লিন্ডট, লিওনিদাস, হারশে’স, ফেরারো, ক্যাডবেরি ইত্যাদি চকলেটের বিখ্যাত ব্র্যান্ড।

চকলেটের কিছু মজাদার তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন চকলেট তৈরির জন্য খরচ হয় ৩৫ লাখ পাউন্ড দুধ।

মার্কিনিরা প্রতিদিন ২৮ লাখ পাউন্ড ক্যান্ডি খায়। এর মধ্যে অর্ধেকই চকলেট।

সমগ্র পৃথিবীতে উৎপন্ন অ্যালমন্ডের ৪০ শতাংশ চকলেট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।

 

হার্সে চকলেটের নির্মাতা মিলটন হার্সের টাইটানিকে ভ্রমণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। না হলে হয়তো গোটা বিশ্বই চকলেটের সুস্বাদ থেকে বঞ্চিত হতো।

মানুষ প্রতিদিন হার্সের ৮ কোটি চকলেট খায়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেট বারের ওজন ১২,৭৭০ পাউন্ড।

 

একটি ছোট চকলেটের চিপস ১৫০ ফুট রাস্তায় চলার শক্তি দিতে পারে।

চকলেট শুধু মন তৃপ্ত করে না, এটি মস্তিষ্ক চাপমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

ডার্ক চকলেট খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কোকো উৎপাদন করে আইভোরি কোস্ট। যার ৩৭ শতাংশ চকলেট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।

চকলেট খেলে ব্রণ, একজিমা, ত্বকে অবাঞ্ছিত দাগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।