বরিশালের পলাশপুরে এতিমদের পাশে ফের মেয়র সাদিক

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের পাশে ফের দাড়ালেন বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ও বরিশাল মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্।

স্থানীয় আ’লীগের নেতৃবৃন্ধরা জানায়, এতিমদের কষ্ঠের কথা শুনে তাদের খোঁজ খবর নিতে  সোমবার দুপুরে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্’র নির্দেশে মাদ্রাসায় খাবার নিয়ে ছুটে যান বরিশাল মহানগর আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল।

তিনি মাদ্রাসা পরিদর্শন করে শতাধিক এতিম শিশুর থাকার স্থান সংকট দেখে মাদ্রাসার ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাঁদ ঠালাইয়ের কাজের জন্য যে পরিমানের রট প্রয়োজন তা মেয়র মহাদয় দিবেন বলে এতিম শিশুদের আশ্বাস দেন।

এবং শতাধিক এতিম শিশুদের দুপুরের খাবার দেন। খুশির খবরটি শুনে মাদ্রাসার এতিম শিশুরা মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক বেগম সাহান আরা আবদুল্লাহ্’র আত্মার শান্তি কামনায় এবং মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ জন্য দোয়া মোনাজাত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি চাঁন মিয়া।

পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সভাপতি মালেক হাওলাদার সহ আ’লীগের নেতৃবৃন্ধরা। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফিরোজী জানায়, ২০১৫ সালে পলাশপুর এলাকায় একটি ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে প্রায় ৩০ জন এতিম শিশুদের নিয়ে ওই এলাকায় মাদ্রাসা চালু করি।

তার পরে এতিম শিশুদের দেখবাল করার জন্য নিজের পৈত্তিক সম্পতি বিক্রি করে ২০১৭ সালে পলাশপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য একটি ভাঙ্গা ঘরসহ ২ শতাংশ জমি কিনে মাদ্রাসা চালিয়ে আসছি।

হাঠৎ এতিমদের কষ্ঠ দেখে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সচিত্র ফিচার প্রকাশিত করলে তা নজরে আসে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর এমপি’র।

পরবর্তীতে তিনিসহ মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সশরীরে উক্ত মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং শতাধিক এতিম ছাত্রের বাস্তব অবস্থা অবলোকন করে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

সেই অনুদান দিয়ে জমি ক্রয়, চারতলা ভিত্তির ওপর ১ তলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে আবাসিক-অনাবাসিক ও এতিমদের নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের পড়াশুনা করার জন্য জায়গা সংকট রয়েছে। বিষয়টি সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ শুনে দ্রুত মাদ্রাসায় বরিশাল মহানগর আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলসহ আ’লীগের নেতৃবৃন্ধদের মাদ্রাসায় পাঠিয়ে মাদ্রাসার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য রড দিবেন।

এবং কি মাদ্রাসার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ দ্রুত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজী সাহেব কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ‘কষ্টের খবর শুনে মাথা জগার ঠাই করে দিয়েছেন মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ স্যার।

মন্ত্রী সাহেব অসুস্থ থাকার কারনে এতিমদের খোঁজ খবর নিতে ভুলে যায়নি তারই ছেলে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্।

মেয়র সাহেব সব সময়ই মাদ্রাসার এতিমদের খোঁজ খবর রাখেন। আল্লাহ তালা যেন মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে গরীব অসহায় ও এতিমদের খেদমত করার জন্য। আল্লাহতালা তাদের যেন সব সময়ই সুস্থ রাখেন আমাদের পাশে থাকার জন্য।

তিনি আরো বলেন এই মাদ্রাসাটির ৪ তলা ভবনের কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত একতলা হয়েছে তাই এতিমখানাটির এতিম শিশুদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে এই অসহায় শতাধিক এতিম শিশুর মুখে আনন্দের হাসি ফুটবে বলে দাবি তাদের।

মাদ্রাসার এতিম শিশুদের চাল,ডাল,খাবার দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। অথবা মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্যও ইট,বালু, রড, সিমেন্ট বা অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

আন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago