করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ফল প্রকাশের ক্ষমতা পেল শিক্ষা বোর্ডগুলো। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) তিনটি আদেশ জারির মাধ্যমে কারিগরি, মাদরাসা ও সাধারণ বোর্ডগুলোকে ফলাফল তৈরি করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান অতিমারি কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত কারণে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ ১৯৬১ সংশোধন আনা হয়েছে। সংশোধনী ২০২১ এর ধারা ১৮ অনুযায়ী এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত গঠিত পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২০ এর ফলাফল প্রস্তুত, প্রকাশ ও সনদ বিতরণের জন্য সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। তার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।
‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড (সংশোধন) আইন-২০২১’ ও ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (সংশোধন) আইন-২০২১’- এর গেজেট জারি করা হয়।
এখন যেকোনো দিন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এসএসসি ও জেএসসির পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিতে এ আইনগুলো পাস করা হয়।
গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) সংসদে বিল তিনটি পাসের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘বিল পাসের পর প্রজ্ঞাপন দিতে দুদিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করব।’
আগের আইন অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়ার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশোধিত আইনে পরীক্ষা ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে।
আইন তিনটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিমারি, মহামারির কারণে বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষাগ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ প্রদান করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশনা জারির বিষয় উল্লেখ রয়েছে।’