ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনে ঋণখেলাপি হয়েও মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন কমিশনার জিলহাজ উদ্দিন তার মনোনয়নপত্র বৈধতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে মেয়র প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা ঋণখেলাপির বিষয়টি উল্লেখ করে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন।
লিখিত বক্তব্যে মেয়রপ্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মহিলা সংস্থা পরিচালিত নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা সেলাই প্রকল্প থেকে ২০১১ সালে ঋণ গ্রহণ করেন, যা ইতিমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের আওতায় তিনি একজন ঋণখেলাপি।
আপিলকারী মেয়রপ্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা বলেন, মেয়রপ্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা জাতীয় মহিলা সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন। রিটার্নিং অফিসার কীভাবে প্রার্থিতা বৈধ করলো জানি না। তাই জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবগত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপিল করেছি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, রিটার্নিং অফিসার যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন বৈধতা দিয়েছেন। ঋণখেলাপির বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবেদন করতেই পারেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসার জিলহাজ উদ্দিন বলেন, কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় যে সাত মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন সবার মনোনয়নপত্রে বৈধতা পাওয়া গেছে।
এক প্রার্থীর ঋণখেলাপির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে ওই ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঠিক জবাব না থাকায় প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা দিয়েছি। কিন্তু প্রার্থিতা বাতিলের জন্য কোনো প্রার্থী তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে সাত, ১২ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫৭ এবং সংরক্ষিত আসনে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।