যে রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা হয় মানুষের মাংস!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

যাই বলুন, হজম করা কিন্তু শক্ত! উঁহু! মানুষের মাংস নয়, আপাতত খবরটার কথাই বলা হচ্ছে! তবে এখানে যা রটে তার কিছু তো ঘটে, এমন কথা বলার উপায় নেই। বরং বলা যায় এটি গল্প হলেও সত্যি। হয়েছে কী, জাপানের টোকিও শহরে খুলেছে এক অভিনব রেস্তোরাঁ। তারাই বিশ্বে সর্ব প্রথম খদ্দেরের পাতে তুলে দিচ্ছে মানুষের মাংস।

কী ভাবছেন? আইনে এটা সমর্থন করছে কী ভাবে? আইনসঙ্গত ভিত্তি তো আছেই এই ব্যবসার। হাজার হোক, জাপান তো আর শিবঠাকুরের আপন দেশ নয়। ২০১৪ সাল থেকেই এই নিয়ম হামেহাল চালু জাপানে- বিশেষ কিছু শর্তাবলী সাপেক্ষে চাইলে খাওয়া যেতে পারে মানুষের মাংস। ফলে, টোকিওর এই রেস্তোরাঁর আইনসঙ্গতভাবে বাণিজ্যে কোনো অসুবিধা নেই।

তা, এমন অভিনব রেস্তোরাঁর নামটি কী? সেখানেও রয়েছে এক সূক্ষ্ম রসিকতা। এবং দার্শনিকতাও। মালিক তার এই সাধের ভোজনালয়ের নাম রেখেছেন ‘রিসোতো ওতোতো নো শোকু রিওহিন’! ইংরেজিতে তর্জমা করলে ‘এডিবল ব্রাদার’, অর্থাৎ ভাই ভক্ষণ! স্বাভাবিক, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, মানুষের সম্পর্ক তো শেষ পর্যন্ত সৌভ্রাতৃত্বেরই!

এখানে এসে একটা প্রশ্ন উঠবে।

কাক যেমন কাকের মাংস খায় না বলেই প্রবাদ, সে রকমই কি এক ভাই অন্যের মাংস গলাধকরণ করতে চাইবে?

বিস্ময়ের ব্যাপার- খদ্দের জুটে যাচ্ছে ঠিকই। খবর বলছে, এডিবল ব্রাদার-এর প্রথম খদ্দের ছিলেন এক আর্জেটিনার পর্যটক। খেয়ে-দেয়ে খুব মন্দ কিছু কিন্তু তিনি বলেননি জাত ভাইয়ের মাংস সম্পর্কে। তবে আরও একটু বেশি শক্ত। ওরা রান্না করেছেন নানা মসলাপাতি মিশিয়ে, ফলে মুখে দিয়ে খারাপ কিছু তো মনে হল না’, অকপটে জানিয়েছেন সেই পর্যটক।

টোকিওর এই রেস্তোরাঁ মানুষের মাংসের দাম ধার্য করেছে ১০০ থেকে ১০০০ ইউরো। এক টুকরো থেকে শুরু করে পুরো পদ পর্যন্ত এই দামের বিস্তার। যাতে যার যেমন ইচ্ছা, যতটা ইচ্ছা খেতে পারেন!

দামটা বড়ো বেশি না? সেটাই তো স্বাভাবিক। একে তো জিনিসটা মানুষের মাংস! মানে, আইনসঙ্গত হলেও ক্যাভিয়ারের চেয়েও দুর্লভ খাবার। তার উপর এই মাংস কিনতে রেস্তোরাঁর খরচটাও বিশাল- পাক্কা ৩০,০০০ ইউরো!

এবার বাকি থাকে স্রেফ একটাই প্রশ্ন। আইন সমর্থন করলেও এই মাংসের জোগান আসছে কোথা থেকে?

রেস্তোরাঁ জানিয়েছে, একমাত্র ইচ্ছুক, মৃত্যুপথযাত্রী যুবক-যুবতীরাই তাদের মাংস জুগিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে তারা একটি দানপত্রে আইন মেনে উল্লেখ করে যান রেস্তোরাঁর হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা। তার পরে কী হয়, তা কি আর বলার প্রয়োজন আছে? সূত্র: নেটিজেনস ডেইলি।