ফেসবুকে প্রেম, অতঃপর পটুয়াখালীতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশি ছেলে ও এক বিদেশি মেয়ের সাথে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয় ভালবাসার সম্পর্ক। আর ভালোবাসার টানেই সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ছুটে এসেছেন সেই তরুণী। তার নাম নিকি উল ফিয়া (২০)।

নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউ লি আন থো এর মেয়ে। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। ওই তরুনী মুসলিম পরিবারের সন্তান। আর বাংলাদেশি তরুন মো. ইমরান হোসেনের বাড়ি বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি এলাকায়। তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন। ইমরান পটুয়াখালী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

এ ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে উৎসুক মানুষের ভীড় হয় ইমরানের বাড়ীতে। প্রেমিক জুটিকে এক নজর দেখার জন্য অধীর আগ্রহে সময় কাটাচ্ছে।

তরুন ইমরান বলেন,  প্রায় এক ব্ছর আগে ফেসবুকে বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যমে নিকি উল ফিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে শুনে সুদুর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তার পরিবার আমাদের সম্পর্ক সম্বন্ধে অবগত। গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে এসে পৌঁছালে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়ায় নিয়ে আসি।

তরুনী নিকি উল ফিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ভালোবাসার টানেই মূলত তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।   ইমরানের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে চান তিনি। বিষয়টি তার মা বাবাকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি ইমরানের পরিবারের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।

ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আসার পর নিকি উল ফিয়া তার বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিকি উল ফিয়ার উপর নির্ভর করছে।