১০ জানুয়ারি দেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

১৬ ডিসেম্বর বাঙালি বিজয় অর্জন করলেও প্রকৃতপক্ষে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে বলে মন্তব‌্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব‌্য করেন।

 

তথ‌্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই স্বাধীনতা পেয়েছে বাঙালিরা।  আর ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে ১০ জানুয়ারি। কারণ পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি যদি তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারতেন, তাহলে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বটাকে কতটুকু রক্ষা করতে পারতাম, সেই প্রশ্ন আমার মনে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ঘরে বাইরে কারো নিরাপত্তা নেই’ এ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা পেট্রোলবোমায় মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে এবং হাতে রক্ত ও আগুন নিয়ে মানুষকে প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলে, তারা যখন নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে তখন মানুষ আতঙ্কিত হয়। মানুষ ভাবে, আবার কোনো পেট্রোলবোমা ধেয়ে আসছে কি না!’

বিএনপি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবসেও বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে আদৌ বিশ্বাস করে কি না- সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে? সেটার উত্তর দিয়েছেন আজ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়ে। আসলেই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।

 

এর আগে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ডিআরইউয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।  এ সময় তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ডিআরইউয়ের নতুন পরিষদকে অভিনন্দন জানান এবং রিপোর্টারদের তারুণ্যদীপ্ত সংগঠন হিসেবে ডিআরইউয়ের অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানও বক্তব্য রাখেন।

ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অপব্যবহার রোধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান বলেন, আমরা নতুন কমিটি একটি লক্ষ‌্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, সেটি হলো স্বাবলম্বী ডিআরইউ। এ কাজটি একদিনে হবে না। এক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রীর বিরাট ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।  জাতীয় বাজেটে তথ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে একটি বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তিনি।

 

এ সময় ছিলেন ডিআরইউ সহসভাপতি ওসমান গণি বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর, দফতর সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, আপ্যায়ন সম্পাদক মো. নঈমুদ্দীন, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম জসিম, আজিজুর রহমান, রুমানা জামান, মো. মাহবুবুর রহমান, রফিক রাফি, নার্গিস জুঁই ও জাহাঙ্গীর কিরণ।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত‌্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ফুল দেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ড. হাছান মাহমুদ।