ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি ও তার আশেপাশের এলাকায়। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূগর্ভের ৭.৫ কিলোমিটার গভীর থেকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.২।
দিল্লির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় দিল্লিতে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন সাধারণ মানুষ। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দিল্লি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও গুরুগ্রামেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভারতের পাঁচটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলে রয়েছে। ভূমিকম্পের জন্য দিল্লি সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভূমিকম্পের উত্সস্থল হিসেবে দিল্লিকে খুব একটা দেখা যায় না। মধ্য এশিয়া বা হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প হলে তার প্রভাবে নড়েচড়ে ওঠে দিল্লি।
জাতীয় রাজধানীর আশপাশে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১০ অক্টোবর, বুলন্দশহরে। রিখটারে তার তীব্রতা ছিল ৬.৭। ১৯৬৬ সালের ১৫ অগস্ট মোরাদাবাদে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৮। এই দুটি এলাকাই পড়েছে উত্তর প্রদেশে।
গত কয়েক মাসে একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লিসহ উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতে ৷ এপ্রিল মাস থেকে এক ডজনের বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়।
পুরো জুন মাসে জম্মু-কাশ্মীরে পাঁচটির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। অধিকাংশই কম্পনই যদিও ছিল মৃদু কম্পাঙ্কের। ফলে ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে হয়নি।