বানারীপাড়া পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ সংলগ্ন সম্পত্তিতে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের দাবীতে বানারীপাড়ার শীর্ষ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, পূজা উদযাপন ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টজনরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের প্রস্তাবিত স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রায় ৪ মাস পূর্বে মৃত্যু বরণ করা একজন ব্যক্তির মন্তব্য প্রকাশ করিয়ে সরকারের এই উন্নয়ন কাজে বাধা ও স্থবিরতা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে একটি মহল এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ষড়যন্ত্র কারীরা যাদে সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বাধার সৃষ্টি করতে না পারে এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শাহে আলমের প্রস্তাবিত স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় সে জন্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকারের কাছে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল,
মুক্তিযুদ্ধকালীন বেজ কমান্ডার বেণী লাল দাস গুপ্ত বেণু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা তাসলিমা হোসেন ফ্লোরা, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন,
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুব্রত লাল কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিল ঘরামী, খিজির সরদার, মাইনুল হাসান মোহাম্মদ ও শহিদুল ইসলাম,
বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আশরাফী, বানারীপাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন ও কেন্দ্রীয় সার্বজনিন মন্দির কমিটির সভাপতি দেবাশীষ দাস, বানারীপাড়া সরকারী মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন (পাইলট) স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত হাওলাদার, বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকার সিদ্দিক, বানারীপাড়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা এম এ জলিল ও পৌরসভার সকল কাউন্সিলরসহ বিশিষ্টজনেরা দাবী জানান।
এদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের কাছে একই দাবী জানিয়েছেন মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ভূমির মালিক সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপ-সচিব দেলোয়ার হোসেন গং’রা। অপরদিকে প্রস্তাবিত স্থানে দ্রুত মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরুর দাবীতে সম্প্রতি উপজেলা ইমাম সমিতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালণ করেছেন।
সাবেক উপ-সচিব দেলোয়ার হোসেন মোল্লা তার স্মারকলিপিতে অভিযোগ করেছেন প্রস্তাবিত সম্পত্তিতে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে একটি ভূমিগ্রাসী চক্র নানা ভাবে বাধার সৃষ্টি করছে।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থক ওই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে সম্পত্তির বেশির ভাগ অংশ জবর দখল করে রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে সরকারের এই পদক্ষেপ যাতে করে প্রস্তাবিত স্থানে বাস্তবায়ন না হয় সে জন্য ওই চক্রটিকে নানাভাবে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তারা সহায়তা করছেন।
প্রসঙ্গত মৃত্যু ব্যক্তির বরাত দিয়ে জাতীয় দৈনিকে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিলো, তার অনুসন্ধান করতে গিয়ে বানারীপাড়া প্রেসক্লাব সংবাদের সাংঘর্ষিক সূত্র পায়।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায় প্রস্তাবিত স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃুতিক কেন্দ্র নির্মাণ হলে কোন পক্ষেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পক্ষান্তরে প্রস্তাবিত স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হলে আওয়ামী লীগ সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন এই উপজেলায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
এ জন্যই জামায়াত-বিএনপির ওই চক্রটি বার বার প্রস্তাবিত স্থানে উন্নয়ন কাজ করতে বাধার সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে ওই চক্রটি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের দ্বারা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে সঠিক নয় এমন সব সংবাদ প্রকাশ করাতে না পেরে নাম সর্বচ্চ কিছু অনলাইন-পোর্টালে ও সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিচ্ছে বলেও নানান সূত্রে জানা গেছে।