হাসপাতালের ভবন, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, প্রচুর রোগী, চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও আছে। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
এ অবস্থা বিরাজ করছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে নির্মিত একমাত্র মা ও শিশু হাসপাতালে। একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, একজন পাহারাদার ও ঝাড়–দার দিয়ে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম।
অথচ ১০ শয্যার এ হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেও নিয়োগ দেয়নি প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চিকিৎসাসামগ্রী।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে কর্মরত আছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ফেরদৌসী বেগম। ফেরদৌসী বেগম সাংবাদিক সঞ্জিব দাসকে জানান, এখানে লোকজন কম থাকায় অনেকটা নিরাপত্তাহনীতায় ভোগেন।
অবশ্য একজন নৈশপ্রহরী ও সুইপার এখানে কর্মরত রয়েছেন। পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম এ প্রতিবেদককে জানান, দুই বছর আগে ভবনসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ হলেও নেই চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল।
চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করেছে। কিন্তু সরকারের সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। গরিব সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা থেকে।
এ চিকিৎসাসেবা সুবিধা, বিশেষ করে সিজারিয়ানের ব্যবস্থা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই। যেতে হয় জেলা সদর পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, যা সাধারণ গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
গলাচিপা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে একজন মেডিক্যাল অফিসার, টেকনিশিয়ান, সেবিকা নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
এই নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দপ্তরের। কী কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না, তা আমার জানা নেই। তিনি আরও জানান, ওই মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখনো সরবরাহ করা হয়নি।