ভোলার তজুমদ্দিনে অবৈধভাবে নদীর তীর থেকে মাটি কাটার অপরাধে একটি জাহাজ, একটি ভেকু ও ২ ব্যক্তিকে আটক করেন উপজেলা প্রশাসন।
পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা জরিমাণা করা হয়। আর আটক ভেকু কোষ্টগার্ডের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের মহিষখালী এলাকায় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে জাহাজে করে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে সংবাদে ৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ২টায় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেখানে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় ২ জন লোকসহ জাহাজ ও ভেকু আটক করা হয়। আটককৃত দুইজন হলেন, আলিরতেক নারায়ণগঞ্জ এলাকার ইসমাইলের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০) ও একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আওলাদা হোসেনকে (৩০) আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা। আটক ভেকু কোষ্টগার্ডের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা বলেন, যেহেতু এই এলাকায় কারো বালি কিংবা মাটি কাটার কোন অনুমতি নেই তাই কেউ মাটি কাটতে পারবেনা। যারা এভাবে মাটি বা বালি কাটবে তারা দেশ, সমাজ ও জাতির শত্রু। এদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, নদীর তীরবর্তী এলাকায় খাল খননের নামে এক সময় মেঘনার চিহ্নিত দুই জলদস্যু মিজান ডাকাত ও ডাকাত কালাম নারায়ণগঞ্জে এসব মাটি বিক্রি করেন।
বিক্রির চুক্তি অনুযায়ী মাটি কাটার সময় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। স্থানীয়দের দাবী অচিরেই দুস্কৃতিকারী মিজান ডাকাত ও কালাম ডাকাতকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে সাধারণ মানুষের মাঝে আইন ভাঙ্গার প্রবনতা বাড়তে পারে। তাই তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শান্তির দাবী জানান প্রশাসনের নিকট।