সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯২ সালে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ সালমান শাহর। প্রথম ছবিতেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুদর্শন নায়ক ছিলেন তিনি। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র জীবনে ছুঁয়ে গেছেন জনপ্রিয়তার সবটুকু আকাশ।
তিনি জীবনের ওপারে চলে গেছেন ২৪ বছর হয়। কিন্তু তাকে নিয়ে ভক্তদের আবেগ, ভালোবাসা ও পাগলামি কমেনি একচুল। এখনো ভক্তরা কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করেন। মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজন করেন মিলাদ মাহফিল। যেখানে যখন সালমানকে নিয়ে কোনো আয়োজন থাকে, ছুটে আসেন। এভাবেই যুগের পর যুগ অমর হয়ে রয়ে গেছেন তিনি।
এসবের ভিড়ে পাওয়া গেল দারুণ এক খবর। প্রিয় নায়ক সালমান শাহের নামে একটি বাস স্টেশনের নামকরণ করেছেন এক ভক্ত। গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন ৫নং ওয়ার্ডের সুরাবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘মহানায়ক সালমান শাহ স্টেশন’।
সালমান শাহ ভক্ত হিসেবে সারাদেশে সুপরিচিত নাহিদ ইমন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সালমান শাহ ভক্ত ডি এম মাসুদ ভাই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন। নিজের জমিতে নিজ খরচে স্টেশন তৈরি করে তিনি সালমান ভাইয়ের নামে ‘মহানায়ক সালমান শাহ স্টেশন নামকরণ করেছেন। তার এই উদ্যোগ সালমান ভক্ত হিসেবে আমাকে, আমাদের সবাইকে আনন্দিত করেছে। মাসুদ ভাইয়ের প্রতি আমাদের অনেক ভালোবাসা ও দোয়া থাকলো।’
‘সালমান শাহ ভক্তরা এমনই। অনেকের কাছে পাগলামি মনে হতে পারে। কিন্তু প্রিয় নায়কের জন্য তার ভক্ত হিসেবে অনেক কিছুই করতে পারি আমরা’- যোগ করেন নাহিদ ইমন।
স্টেশন দেয়া সালমানের পাগল ভক্ত ডি এম মাসুদ বলেন, ‘স্বপ্ন দেখে আসছি দিনের পর দিন এফডিসিতে তার নামে কিছু হবে, দেশে তার নামে কিছু হবে। কিন্তু হয় না। প্রিয় নায়কের জন্য নিজেও কতকিছু করার স্বপ্ন দেখেছি। সাধ্যে যা হয়েছে সেটুকু করার চেষ্টা করলাম।
আমি চাই সালমান শাহ চিরদিন বেঁচে থাকুন বাংলাদেশিদের অন্তরে। এমন আরও অনেক উদ্যোগই পারে সে চাওয়ার বাস্তবায়ন ঘটাতে।’
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে স্টেশনটি চালু হয়েছে। মেইন রোডের পাশের এই স্টেশনটি বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। নজর কেড়েছে সবার। এখানে রোজ রোজ থামে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করা বাস, হোন্ডা, অটো রিকশাসহ নানা রকম যানবাহন। এই স্টেশনকে ঘিরে কিছু দোকানও গড়ে উঠছে।