বরিশাল জেলা ইজতেমায় জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল

:
: ৬ years ago

বরিশালে তিন দিনব্যাপি জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের জন্য লাখোও মুসল্লি ইজতেমা মাঠ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। জায়গা পেতে অনেকে সকাল ১০টা থেকে ইজতেমা ময়দানে জমায়েত হতে শুরু করেন। জুমার নামাজের আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।

বরিশালের ধর্মাদী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মোজাম্মেল হক জুমার নামাজে ইমামতি করেন।

তাছাড়া বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন, ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আহসান হাবিব কামাল, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মইদুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এবায়েদুল হক চান, উত্তরের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তব্যর্গ জুম্মা নামাজে অংশ নেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু-এমপি ইজতেমা মাঠে এশার নামজ আদায় এবং বয়ান সোনেন। শনিবার বেলা ১১টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে বরিশাল জেলা পর্বের ইজতেমার সমাপ্তি হবে। রাজধানীর কাকরাই মসজিদের তাবলীগ জামায়াতের মুরব্বি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ সমাপনি দিনে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন।

জেলা ইজতেমা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী মাওলানা আবুল খায়ের খান হামিম জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা সমাপ্ত হবে।

তাবলিগ জামাতের সুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল মান্নান জানান, বিদেশি ৬৩ জন মুসল্লি এসেছেন ইজতেমায়। এরা সৌদি আরব, ফিলিস্তিন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কেনিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। এক সঙ্গে আড়াই লাখ মুসল্লির বরিশাল ইজতেমা মাঠে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে।

 গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমার শুরু হয়। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২৭ জানুয়ারি যোহরের নামাজের আগে শেষ হবে এবারের ইজতেমা।

নগরীর নবগ্রাম রোড এলাকার ১৪ একর জমিতে ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। এক সঙ্গে আড়াই লাখ লোকের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সোয়া লাখ লোক এক সঙ্গে বয়ান শুনতে পারবেন। ৩৬ হাজার লোকের ঘুমের জায়গা রয়েছে ইজতেমা মাঠে। মুসল্লিদের জন্য ৮শ টয়লেট, ওজুর জন্য ৫শ ট্যাপ ও ৪টি পুকুর এবং ১৪টি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা হয়েছে। রাতে আলোর জন্য ১৬শ বৈদ্যুতিক লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (বিশেষ শাখা) জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনীর ৩শ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। জঙ্গিবাদ ও নাশকতা রোধে ইজতেমার আশপাশের প্রত্যেকটি ছাত্রাবাস, মেস ও আবাসিক হোটেলগুলোতে নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী বরিশালে প্রথম জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের সড়ক ও বাসা-বাড়িতে মুসল্লিরা অবস্থান নেন। বিশেষ করে জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল।

জেলা ইজতেমা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী মাওলানা আবুল খায়ের খান হামিম জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে এ ইজতেমা সমাপ্ত হবে।