কর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ভালো ছিল না। আইসিসির প্রধান নির্বাহীর চেয়ারে বসার পর থেকেই কর্তৃত্বমূলক আচরণ শুরু করেন মনু সাহনি। যার জেরে তাকে হঠাৎই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অডিট বা নিরীক্ষার জন্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইসহাউজ ওয়াটার কুপার্সের (পিডব্লিউসি) তদন্তে মনু সাহনির এমন আচরণের প্রমাণ মিলেছে। তারপরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ডেভিড রিচার্ডসনের স্থলাভিষিক্ত হন সাহনি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন সে বছরের এপ্রিলে। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই কর্মীদের সঙ্গে কর্তৃত্বমূলক আচরণ শুরু করেন সাহনি। তার আচরণে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না আইসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এমন অভিযোগ অবশ্য সাহনির বিরুদ্ধে এবারই প্রথম নয়, এর আগে সিঙ্গাপুরে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেখানেও তার বিরুদ্ধে কর্মীদের আবেগ-অনুভূতি, সুবিধা-অসুবিধা হিসাবে না নেওয়ার অভিযোগ ছিল।
কিন্তু আইসিসির চেয়ারে এমন মানুষ মোটেই মানানসই নয়। সাহনি যে জায়গায় এসেছেন, সেখানে তার আগে সাত বছর দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড রিচার্ডসন। আচরণগত দিক থেকে তিনি কর্মীদের খুবই প্রিয়ভাজন ছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে তার কার্যকলাপ নিরীক্ষার কাজ শুরু করে পিডব্লিউসি। আইসিসির ৮৫ জন বর্তমান এবং সাবেক কর্মী এই ইস্যুতে তাদের মতামত দিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সাহনির আচরণে নাখোশ।
৫৬ বছর বয়সী সাহনি অবশ্য গত এক সপ্তাহ ধরে এমনিতেও অফিসে যাচ্ছেন না। তিনি আইসোলেশনে আছেন তার পরিবারের একজন সদস্যের করোনা ধরা পড়ায়। এর মধ্যে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতেই পাঠিয়ে দিল আইসিসি। তার সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি বাকি আছে সংস্থাটির।