৯ বছরে ৯ হাজার ৪৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন

:
: ৬ years ago

‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’- এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে গত ৯ বছরে ৯ হাজার ৪৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে সরকার। ফলে বিদ্যুতের মোট স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ১৬ হাজার ৪৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ হতে ৮৩ ভাগে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে। ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট।

সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদ্যুতের মোট স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ১৬ হাজার ৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬২২ সার্কিট কিলোমিটার। একই সময়ে মোট বিতরণ লাইনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার, যার মাধ্যমে মোট প্রায় দুই কোটি ৭৪ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের সামগ্রিক সিস্টেম লস কমছে ক্রমান্বয়ে।

জানা গেছে, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১৬ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে নির্মাণাধীন ৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুতকেন্দ্র ২০১৮ সালের মধ্যে চালুর জন্য নির্ধারিত আছে। ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুতের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট।

অন্যদিকে গ্যাসের চাহিদা ও যোগানের সমন্বয় সাধনের জন্য গ্যাসের অনুসন্ধান, উত্তোলন, সঞ্চালন এবং বিতরণে সরকার বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ফলে দৈনিক প্রায় দুই হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। সম্প্রতি ভোলার শাহবাজপুর অনুসন্ধান কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল এবং একই জেলার মহেশখালী ও পটুয়াখালীর পায়রায় প্রতিটি দৈনিক এক বিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ল্যান্ডবেজইড টার্মিনাল স্থাপনে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ১৩০ কিলোমিটার ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপনে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।