তিন কেজি গাঁজার টাকা নিয়ে এক কেজি দেয়ায় জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেন এক নারী। ফোন করে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে নিজেই ধরা পড়লেন ওই নারী।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, সোমবার ভোরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের এসআই মো. জাকির হোসেনের কাছে ফোন আসে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে। তাকে ফোনে জানানো হয় ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে এক নারী গাঁজা ব্যবসায়ী রয়েছেন। খবর পেয়েই ফোর্স নিয়ে ছুটে যান এসআই মো. জাকির।
তবে পুলিশ আসার আগেই স্থানীয় পাইকারি মাদক কারবারি পালিয়ে যান। এ সময় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়া খুচরা মাদক ব্যবসায়ী সালমা বেগমকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, গাঁজা ব্যবসায়ী সালমা বেগম থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সীমান্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের কাছ থেকে গাঁজা কেনে বিক্রি করেন তিনি।
শনিবার সকালে তিন কেজি গাঁজার জন্য রহিমকে টাকা দেন সালমা। রহিম তিন কেজির টাকা নিয়ে গাঁজা দেন এক কেজি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রহিমের সঙ্গে সালমার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান সালমা। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ থেকে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কৌশলে সটকে পড়েন পাইকারি ব্যবসায়ী রহিম। এ সময় এক কেজি গাঁজাসহ সালমাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের এসআই মো. জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি এমন হবে বুঝতে পারিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি অবাক হলাম। আবদুর রহিমকে পাওয়া না গেলেও সালমাকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সালমা ও পলাতক মাদক কারবারি আবদুর রহিমকে আসামি করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। রহিমকে ধরতে অভিযান চলছে।