৯৯৯ এ কল করে সহায়তা পেতে শুরু করেছে বরিশালের মানুষ। ফায়ার স্টেশন উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রথম কল পেয়েছেন। ৯৯৯ এর ওই কলের মাধ্যমে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের সন্ধ্যা নদী থেকে ছয় বছরের শিশুকে উদ্ধার করেছেন ষ্টেশনের নৌ-ডুবুরিরা। যদিও শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে নদীর ৫০ ফুট গভীর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মোঃ হানিফ জানান, রবিবার দুপুরে ৯৯৯ থেকে তাদের টেলিফোনে একটি ফোন আসে। যার মাধ্যমে কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের হাসান ঘারামীর ছয় বছরের শিশু সন্তান জিসানের সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক তিনি একটি ডুবুরি দলকে নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ওইদিন বিকেল তিনটা ৪৫ মিনিটে নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে প্রায় ৫৫ মিনিট পর শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পানির ৫০ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়। স্টেশন অফিসার আরও জানান, তাদের এ উদ্ধার অভিযানের ফাঁকে ফাঁকে ৯৯৯ থেকে কল করে অভিযানের সর্বশেষ বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছিলো। যা বরিশালের প্রেক্ষাপটে আলোচিত বিষয় হিসেবে দেখছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস বরিশালের উপ-সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানান, এটাই বরিশালে প্রথম ৯৯৯ থেকে আসা কল। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পরপরই এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়, সেখান থেকে তাৎক্ষনিক আমাদের জানানো হয়। যাদের ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল বা এ্যাম্বুলেন্স অথবা পুলিশের সহায়তার প্রয়োজন হবে কিন্তু সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর নম্বর নেই তাদের জন্য ৯৯৯ একটি সহজ মাধ্যম বলে মনে করছেন বরিশালের সুশীল সমাজ।