৯৯৯-এ কল, ধর্ষককে থানায় আনলো পুলিশ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী মাঠে গিয়েছিল ঘাস কাটতে। সেখানেই ধর্ষণ। এরপর নির্যাতিত ওই কিশোরীর এক স্বজন ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হাজির পুলিশ। আটক করে থানায় নেওয়া হলো ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ৫৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে।

অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম আমজাদ আলী। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাউসপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে উপজেলার চর বয়ারমারি গ্রামে মেয়ের বাড়িতে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বিকালে ওই গ্রামেরই প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। তাকে পুলিশ আটক করার পর বুধবার রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ওই কিশোরীর ভাই।

গোদাগাড়ী থানার পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, ১৫ বছরের ওই কিশোরী সেদিন মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। ঘাস কেটে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই বৃদ্ধ তাকে ভুট্টাখেতে নিয়ে যান। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর চিৎকারে এগিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু মীমাংসা করতে রাজি হননি কিশোরীর পরিবার।

তাই পরদিন বুধবার বিকালে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান নির্যাতিত কিশোরীর এক স্বজন। এরপর পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি ডেস্ক থেকে বিষয়টি গোদাগাড়ী থানায় অবহিত করা হয়। খবর পেয়েই ওই কিশোরীর বাড়িতে যায় পুলিশ। তারা কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে আমজাদ আলীকে আটক করা হয়। পরে রাতেই থানায় মামলা করেন ওই কিশোরীর ভাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক জানান, চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্ত আমজাদ আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিত ওই কিশোরীকেও আদালতে নিয়ে তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে।