৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারালো পাকিস্তান

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

১০৮ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই হবে না, এটা অনুমেয়ই ছিল। পাকিস্তানি ব্যাটাররাও ঝুঁকি নিতে চাইলেন না। ধীরে-সুস্থে, দেখে-শুনে ব্যাটিং করার দিকেই ছিলো সবচেয়ে বেশি মনযোগী।

যার ফলে ১০৯ রানের লক্ষ্য ১১ বল হাতে রেখেই পার হয়ে গেলো পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো বাবর আজমের দল। শেষ ম্যাচটি এখন পরিণত হয়েছে কেবলই আনুষ্ঠানিকতায়।

ইনিংসে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বল করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার লেন্থ বলটিকে খেলতে যান বাবর আজম। কিন্তু ভেতরের কানায় লাগিয়ে বলটিকে টেনে নেন স্ট্যাম্পে। বোল্ড হযে গেলেন তিনি মাত্র ১ রানে। বল খেলেছেন তিনি ৫টি।

আগের ম্যাচেও একইভাবে বোল্ড হয়েছিলেন বাবর আজম। ওই ম্যাচে তাসকিন আহমেদের একই ধরনের একটি বল খেলতে গিয়ে নিজের স্ট্যাম্পে টেনে আনেন বাবর।

ফাখর জামান ছিলেন দুর্বোধ্য। ৫১ বল খেলে তিনি করেন ৫৭ রান। মূলতঃ মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ফাখর জামানের ব্যাটিং দেখলেই বোঝা যায়, কতটা রয়েসয়ে ব্যাটিং করে গেছেন তারা। ৮৫ রানের জুটি গড়েছেন তারা ৭৮ বলে। টি-টোয়েন্টিতে রীতিমত অবিশ্বাস্য স্লো ব্যাটিং।

কিন্তু ১০৯ রান তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা অহেতুক তাড়াহুড়ো করেননি এবং উইকেট হারাননি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ উইকেটের পতন ঘটাতে ব্যবহার করেন ৮জন বোলার। আগের ম্যাচে অধিনায়ক বোলিং করাননি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়ে। যার কারণে তুমুল সমালোচনার শিকার হন তিনি।

ফলে, আজ মেহেদী হাসান আর তাসকিন আহমেদের পর আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়েই পূর্ণ ৪ ওভার বোলিং করালেন। বিপ্লব রান দিয়েছেন ৩০টি। সবচেয়ে বেশি ইকনোমি রেটে (৭.৫০)। উইকেট নিয়েছেন ১টি।

আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাজমুল হোসেন শান্ত এমনকি সাইফ হাসানকে দিয়েও বোলিং করালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে মোস্তাফিজক একজন সমর্থক এসে জড়িয়ে ধরার কারণে ১৪তম ওভারের একটি বল করে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। যে কারণে অসম্পূর্ণ ওভারের বাকি ৫ বল করেন শরিফুল ইসলাস।

সাইফ হাসান ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন এবং একটি বল করার পরই পাকিস্তান জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। মাহমুদউল্লাহ নিজে বোলিং করলে, বোলার হয়ে যেতো ৯ জন।