সোহেল আহমেদঃ নিজ চোখে যুদ্ধ দেখেছেন বগুড়ার মোজাম্মেল হোসেন। পাক বাহিনী যাকে যেভাবে পাচ্ছে শর্টগান উচু করে পাখির মত মেরে ফেলছে। ভয়ে এবাড়ি তো ওবাড়ি লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে জীবন যাপণ করেছেন। মানুষের বাড়িতে থেকে কৃষি কাজও করেছেন। বিয়ের পর তিন কণ্যার পিতা হলেন। টানাপোড়েনের মধ্যে দুই মেয়েকে বিবাহ দিয়েছেন।
সংসারের উন্নতি করার জন্য কন্যাকে সাথে নিয়ে মোজাম্মেল পাড়ি জমান চট্টগ্রামে। তখন দেড়শ টাকার মজুরি নিয়ে ভাড়ি ভাড়ি কাজ করে মোটামুটি চলছিলো তার সংসার। একদিন সিমেন্টবালু বোঝাই বস্তা নিয়ে আট তলা ভবনে উঠতে গিয়ে পড়ে যান মোজাম্মেল। মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গিয়ে হাসপাতালে দিনকাটান অনেকদিন। এর মধ্যেই নিজের জমানো সব টাকা শেষ হয়ে যায়।
চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখেই ভাড়া বাড়িতে ফেরেন। জীবন জীবিকার তাগিদে যে হাত দিয়ে কাজ করে উপার্জণ করতেন সেই হাত এবার মানুষের নিকট সাহায্য প্রার্থণা করবে। কোমরে বেল্ট বেঁধে খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাইলের পর মাইল হাঠছেন, মানুষের নিকট সহযোগিতা চাচ্ছেন।