৭ যাত্রীর প্যান্টে ৬৭ লাখ টাকার স্বর্ণ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাতজন যাত্রীর প্যান্ট থেকে প্রায় ৬৭ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। সেইসঙ্গে এই সাতজনকে আকট করা হয়েছে। স্বর্ণ জব্দের আগে বিমানবন্দর থেকে শুল্ক গোয়েন্দা ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকার অামদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেটও জব্দ করে।

প্যান্টে করে স্বর্ণ এনে আকটরা হলেন- কামাল হোসেন (৩৪), তার বাড়ি কেরানীগঞ্জে, তার পাসপোর্ট নং- বিবি- ০৫৫৫৬৫৭। আহসান (৩২), বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, পাসপোর্ট নং- বিএফ০৮০০৬৮৩। সাইফুল ইসলাম (৩৫), বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর, পাসপোর্ট নং-বিসি-০৪৫২৮০৫। আকতার হোসেন (৪২), বাড়ি কেরানীগঞ্জে, পাসপোর্ট নং- বিসি-০৯০৪১৫৪। আবুল (৩৯), বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, পাসপোর্ট নং-বিজে-০২১৩৩১৮। রুহুল আমিন (৪৮), বাড়ি কুমিল্লা সদরে, পাসপোর্ট নং-এএফ-৯৭৩৮৫৪৩। মিন্টু (৪৮), বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যায়, তার পাসপোর্ট নং-এজি ৩৩০৯৬৩৬।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, এই যাত্রীরা শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বিজি-০৪০ ফ্লাইটে করে সৌদি আরব হতে শাহজালালে অবতরণ করেন। গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পরে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়। এগুলো ঘোষণা ছাড়ায় দেশে আনা হচ্ছিল। ১২টি বারের এই স্বর্ণের ওজন ১৩ শ’ ৩৪ গ্রাম। মূল্য ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

অপরদিকে শুক্রবার এই স্বর্ণ জব্দের আগে শুল্ক গোয়েন্দা শাহজালালে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় আমদানি নিষিদ্ধ এক লাখ চার হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করে। এসব সিগারেট ৫২০ কার্টনে পাওয়া যায়। শুল্ক গোয়েন্দার কাছে থাকা গোপন সংবাদ অনুযায়ী, থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩২১ ফ্লাইটে সিগারেট চোরাচালানের ওপর নজরদারি করা হয়।ফ্লাইটটি আনুমানিক বেলা ১২ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে শুল্ক গোয়েন্দারা তল্লাশি চালায়।

gold

একপর্যায়ে শুল্ক গোয়েন্দার দল চার নং ব্যাগেজ বেল্টে চারটি ব্যাগে থাকা সিগারেটের চালানটি শনাক্ত করে। বেল্ট বন্ধ হলেও দীর্ঘক্ষণ ব্যাগগুলো কেউ সংগ্রহ না করায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই ব্যাগগুলো উদ্ধার করে স্ক্যান করা হয়। স্ক্যান করে এগুলোর ভেতর সিগারেটের চালানটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয় শুল্ক গোয়েন্দা দল। এরপর কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে চারটি ব্যাগ খুলে আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়। এসব সিগারেট আমেরিকান ইএসএসই লাইটস ব্রান্ডের। সিগারেটের ওপর উচ্চ শুল্ক (প্রায় ৪৫০%) পরিহারের জন্যই এসব সিগারেট আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জব্দ সিগারেটের শুল্ককরসহ মূল্য প্রায় ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, জব্দ করা ওই স্বর্ণ ও সিগারেটের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।