৬ হাসপাতালকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা, ৪টি সিলগালা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১৪টি হাসপাতাল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে মোহাম্মদপুরে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বিভিন্ন অসঙ্গতি পাওয়ায় মোট ৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদের মধ্যে বিডিএম হাসপাতালকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতালকে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালার নির্দেশ, ফেয়ারল্যাব লিমিটেডকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালার নির্দেশ, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২ লাখ টাকা, লাইভ কেয়ার নার্সিং হোমকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালার নির্দেশ এবং শেফা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি সিলগালার নির্দেশ দেন আদালত।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি না থাকা, অনুপযোগী অপারেশন থিয়েটার, রোগীর অস্ত্রোপচার অন্য হাসপাতালে করা, লাইসেন্স না থাকলেও অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা, রোগীপ্রতি ৫০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সসহ নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে অভিযানকালে।

অভিযুক্ত হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো হচ্ছে- বিডিএম হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়্যাল মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা মানসিক ও মাদকাসক্ত হাসপাতাল, মনমিতা মানসিক হাসপাতাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মানসিক হাসপাতাল, ক্রিসেন্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

এর আগে গত মঙ্গলবার লাইসেন্স দেখাতে না পারায় ১৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।