আরিফ হোসেন হাওলাদারশরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদার গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা ব্রিজ এলাকায় জয়ন্তিকা নদী থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আরিফ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী নারীদের একজন ১১ নভেম্বর আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। একই দিন আরিফকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আরিফ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে গোসাইরহাট আসছিলেন। তিনি তাঁর বাবা ও মামার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করছিলেন। ওই ফোনের কল ট্র্যাকিং করে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। পদ্মা ও মেঘনা নদী পাড় হয়ে জয়ন্তিয়া নদীতে প্রবেশ করলেই পুলিশ তাঁকে ঘেরাও দিয়ে আটক করে। তাঁকে ভেদরগঞ্জ থানায় নেওয়া হচ্ছে। আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে গৃহবধূর ভিডিও ধারণ করেন প্রথমে। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন। সেটাও গোপনে ভিডিও করেন। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ধর্ষণের ভিডিওগুলো গ্রামের মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে।