প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ২:০৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭, ১:১৭ পূর্বাহ্ণ
৬ দিনে ৪ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধিত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফে চলমান ১০টি বুথের প্রতিটিতে দিনে অন্তত ৫০০ করে রোহিঙ্গা নিবন্ধনের কথা ছিল। সেই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ১০টি বুথ মিলিয়ে ৬ দিনে মাত্র ৪ হাজার নিবন্ধন হয়েছে। এই গতিতে চলতে থাকলে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যন্ত্রপাতি ও লোক সংকটের কারণে বেশি সময় লাগছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় ও পরিচয় নিশ্চিত করতে বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন শুরু করে সরকার। এতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সহায়তায় কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি। রবিবার পর্যন্ত ৬ দিনে ৪ হাজারের অধিক শরণার্থী তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
কুতুপালংয়ে একটি কেন্দ্রে ছয়টি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় একটি কেন্দ্রে চারটি বুথ খোলা হয়েছে। তবে বালুখালীসহ অন্যান্য স্থানে আরও ১৫ থেকে ২০টি কেন্দ্র খুলে নিবন্ধন কার্যক্রম চালানোর কথা থাকলেও এখনও সেই কেন্দ্রগুলো চালু করা হয়নি। ফলে শুধু কুতুপালং নিবন্ধন কেন্দ্রে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩৫০ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে এই কার্যক্রম।
সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিবন্ধনের জন্য আসা রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ লাইন। কেউ সারিবদ্ধভাবে, কেউ এমনি জটলা বেঁধে আছে। সেখানেই কথা হয় রোহিঙ্গা হাবিবুল আলম (৫০) আবুল কাশেমসহ (৫৫) কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও নিবন্ধন করতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দুই দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তারা আরো জানান, আগামী দিনগুলোয় যেকোনো উপায়ে নিবন্ধনে নিজের নাম ওঠানোর জন্য চেষ্টা করবেন তারা।
নিবন্ধন কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মকর্তা মেজর আবেদ জানান, গত ৬ দিনে এই পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। লোকবল ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে আরো জোরালো গতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যেত। তবে তিনি বলেন, বায়োমেট্টিক নিবন্ধনে রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। অত্যান্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে তারা নিবন্ধিত হতে কেন্দ্রে আসছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইনে পুনরায় নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়ন শুরু হয়। ওই সময় ৯২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ২৯টি চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে। ওই সময় থেকে এই পর্যন্ত চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com
@Earthtimes24.com