এদিকে, নোবিপ্রবির আইনানুযায়ী ৪ বছরের জন্য বিশ্বদ্যিালয়টির উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। প্রেষণে তাকে নোবিপ্রবির উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম।

বিইউপিতে রেজিস্ট্রার নিয়োগ
এছাড়া এদিন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল হক আহমেদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিইউপির রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পাওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম ফয়সল বাতেনকে প্রত্যাহার করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল হক আহমেদকে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।

তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। অধ্যাদেশ অনুযায়ী- বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন ডেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করতে হয়। সেই প্যানেল থেকে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য একজনকে মর্যদাপূর্ণ এ পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

দীর্ঘদিন দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া বিরাজমান। ফলে অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলা চারটি বিশ্ববিদ্যালয়েও রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে আসছে সরকার।

অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত চারটি বড় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পৃথক পৃথক আইনের মাধ্যমে গঠিত ও পরিচালিত হয়। সেখানেও রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার রীতি হয়ে পড়েছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের রোষের মুখে পড়েন উপাচার্যরা। অনেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। অনেকে আবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-আলটিমেটামের মুখে পদত্যাগ করেন। ফলে দেশের ৪৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যশূন্য হয়ে পড়ে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের উচ্চশিক্ষা। সেই স্থবিরতা কাটাতে অন্তর্বর্তী সরকার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিচ্ছে।