বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশালের জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার।
তিনি বলেন, আমাদের মাঠ প্রস্তুত, আগামী দিন জনসভায় ব্যাপক সমাগম ঘটানো হবে। আমরা ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, আশা করি তার থেকেও অধিক লোকের জনসমাগম বরিশাল শহরে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহেনা আপাসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন।
বলরাম পোদ্দার বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক, আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দক্ষিণাঞ্চলে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সবার কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ও সফর কমিটির সমন্বয়ক বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, জননেত্রীর আগমনকে ঘিরে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের কারণেই সর্বস্তরের জনগণ এ জনসভায় আসবেন এবং জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করবেন বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে বরিশাল বিভাগের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আগমন আশীর্বাদ স্বরূপ। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য তিনি যা করেছেন, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি। পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ এখানে কি না হয়েছে। তারপরও দেখুন একটা ছোট শিশু জননেত্রীকে চিঠি লিখেছিল তার জন্য পায়রা নদীতে সেতু হচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বরিশালের সর্বকালের সর্ববৃহৎ তার নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।
জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ৫ বছর পর বরিশালে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও উজ্জীবিত সাধারণ মানুষও।