জাতীয় অ্যাথলেটিকের প্রথম দিনে ডিসকাস থ্রোয়ে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আজহারুল ইসলাম। শনিবার দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড গড়লেন জ্যাভলিন থ্রোয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মনিরুজ্জামান। ৬৪.০৫ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করে মনিরুজ্জামান ভাঙ্গেন ৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ২০১২ সালে একই সংস্থার রাশেদুজ্জামান রেকর্ড করেছিলেন ৬৩.৭৪ মিটার দূরত্বে বর্শা নিক্ষেপ করে। এ ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছেন একই সংস্থার নাজমুল হাসান (৬০.১৪ মিটার) ও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আবদুল আলিম (৫৯.৮৭ মিটার)।
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ জেলের সুমিতা রানীর ১০০ মিটার হার্ডলসের স্বর্ণ জয়ের মধ্যে দিয়ে। গত সামার মিটে স্বর্ণ জেতা সুমিতা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতেছেন ১৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে। রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তা খতুন (১৫.৪০ সে.) ও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন একই সংস্থার স্মৃতি খাতুন (১৬.৬০)।
দ্বিতীয় দিনে স্বর্ণ জিতেছেন পুরুষদের ৩০০০ মিটার স্টেপল চেজে সেনাবাহিনীর সোহেল রানা (৯:৪৪.৯০ মিনিট), পুরুষদের হাই জাম্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সজিব হোসেন (২.০ মিটার), মহিলাদের ৩০০০ মিটার দৌড়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুমি আক্তার (১১:৫০.৭০ মিনিট), মহিলাদের শটপুটে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির শ্রাবনী মল্লিক (১১.৯৯ মিটার), পুরুষদের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আবু তালেব (৪৮.৯০ সেকেন্ড), মেয়েদের বিভাগে একই সংস্থার সুমি আক্তার (৬৭.৬০ সেকেন্ড), মহিলাদের হাই জাম্পে নৌবাহিনীর রত্না খাতুন (১.৬০ মিটার), পুরুষদের ১০০ মিটার রিলেতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শরিফুল, ফারুক, মাসুম, মাসুদ (৪১.৬৫ সেকেন্ড) এবং মেয়েদের ১০০ মিটার রিলেতে নৌবাহিনীর আইরিন, তামান্না, সোহাগী, শিরিন (৪৮.৯০ সেকেন্ড)।
দ্বিতীয় দিন শেষে পদক তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের সংগ্রহ ১০ স্বর্ণ, ১৫ রৌপ্য ও ৫ ব্রোঞ্জ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদক ১০ টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য ও ৭টি ব্রোঞ্জ। রোববার প্রতিযোগিতার শেষ দিনের আকর্ষণ পুরুষ ও মহিলাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।