৫ দিনের রিমান্ডে সেই বাবুল মিয়া

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও  হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসমি বাবুল মিয়ার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার বিকেলে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক আসামা বেগম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মানিকুল ইসলাম বাবুলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-৯ বাবুল মিয়াকে সিলেটের বিয়ানীবাজার ফুফুর বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর শনিবার বাবুলকে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। বাবুল মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।

গত ১৭ মার্চ লাখাই উপজেলার গুনীপুর গ্রামের পাশের ছাতাগর্ত হাওর থেকে বিউটি আক্তারের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৮ মার্চ বিউটির বাবা দিনমজুর সায়েদ মিয়া বাবুলকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাবুলের মা ব্রাহ্মণডোরা ইউপি সদস্য কলমান চান বিবিকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ ও বন্ধু ইসমাইল মিয়াকে অলিপুর থেকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার পর থেকেই বাবুল পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতার করতে না পারায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। এজন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

বিউটিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিবরণে জানা যায়, বিউটি আক্তারকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো বাবুল মিয়া। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ জানুয়ারি বাবুল তাকে অপহণের পর ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে সায়েদ মিয়া গত ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করেন। তারপর মামলা তুলে নিতে বাবুল মিয়া চাপ দিতে থাকে। বাবুলের ভয়ে বিউটিকে তার নানার বাড়ি লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে রাখা হয়।

১৬ মার্চ রাতে প্রকৃতির ডাকে বিউটি ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন ১৭ মার্চ গুনিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় ১৮ মার্চ কিশোরীর বাবা সায়েদ আলী বাদি হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (২৯) ও তার মা ইউপি সদস্য কলমান চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে হাওরে পড়ে থাকা কিশোরী বিউটি আক্তারের মৃতদেহের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে বিচারের দাবি উঠেছে।