৫০০ টন ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে শায়খ আহমাদুল্লাহ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের ৮ জেলার ২৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারি হিসাবমতে দুইজন মারা গেছেন। বহু মানুষ ঘরহারা হয়েছেন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেকে। বানের জলে আটকা পড়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের কয়েক লাখ মানুষ।

বন্যাকবলিতদের চরম দুঃসময়ে তাদের উদ্ধার ও সহায়তায় পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামিক স্কলার ও জনপ্রিয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি ৫০০ টন ত্রাণ প্রস্তুতির কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।

 

শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, গতকাল তাৎক্ষণিক ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, ৫ টন চিনি, ৫ টন লবণ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আমাদের তিনটি ট্রাক ফেনীর উদ্দেশে চলে গেছে। আজ ও কাল সেসব মালামাল পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ। যেহেতু এখন রান্না করার পরিস্থিতি নেই। এজন্য প্রথম ধাপে আমরা ৫ হাজার পরিবারকে ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি চিনি করে দিচ্ছি।

তিনি আরও লেখেন, এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদ্ধার তৎরতা, যা প্রশিক্ষিত ও সংশ্লিষ্ট ইকুইপমেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। এ কাজটি বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীসহ অনেকে ইতোমধ্যে করছেন। স্থানীয়ভাবেও যার যার জায়গা থেকে সবাইকে উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বিতীয় ধাপে আমরা আরও ৩৫ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করছি।

‘যার জন্য ৫০০ টন মালামাল কেনার কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছি। এর মধ্যে আছে ২০০ টন চাল, ২০ হাজার বোতল তেল (২ লিটারের) ৩০ টন খেজুর, ৩০ টন চিড়া, ৪০ টন ডাল, ২৭.৫ টন লবণ, ১৫ টন চিনি, ২০ হাজার পিস পানির বোতল (৫ লিটারের) এবং দেড় লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। এসব মালামাল ঢাকায় প্যাকেজিং হবে কাল সকাল থেকে ইনশাআল্লাহ।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ’র এ উদ্যোগে কেউ অংশ নিতে চাইলে সেই সুযোগও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘যারা শরীক হতে চান, পোস্টের মন্তব্যে দেওয়া তথ্য অনুসরণ করুন। প্যাকেজিংয়ের কাজে যারা স্বেচ্ছাসেবা দিতে চান, কাল সকাল ৭টা ও বিকেল ৩টায় (যার যার সুবিধা অনুযায়ী দুই শিফটে) মাদরাসাতুস সুন্নাহর মাঠে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আফতাবনগর কার্যালয় থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে।’