৪৫ শতাংশের কম নম্বর ও ৭৫ শতাংশের কম হাজিরায় উপবৃত্তি মিলবে না

:
: ৬ মাস আগে

২০২৩ সালের সমপানী পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাবেন না। এছাড়া, বছরে ৭৫ শতাংশের কম হাজিরা দেওয়া শিক্ষার্থীদেরও মিলবে না উপবৃত্তির টাকা। বিবাহিত শিক্ষার্থীরাও সরকারি এ সুবিধার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

 

উপবৃত্তির জন্য অযোগ্য ষষ্ঠ থেকে দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্ক্রিয় করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

জানা গেছে, ২০২৩ সালের উপবৃত্তির সুবিধাভোগী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কেউ সমাপনী পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশের কম নম্বর পেলে, বছরে গড়ে ৭৫ শতাংশের কম ক্লাসে উপস্থিত থাকলে, শেষ একাডেমিক স্তর অষ্টম, দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি অতিক্রান্ত করলে, বিয়ে করে ফেললে বা পড়ালেখা ছেড়ে দিলে উপবৃত্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। অযোগ্য শিক্ষার্থীদের এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করতে বলেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহয়তা ট্রাস্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এ কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। বিশেষ করে, প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নন, এমন শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিষ্ক্রিয় করতে হবে। বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি।

শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করার নিয়মও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে হলে এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে (https://hsp.pmeat.gov.bd/HSP-MIS/login) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মেন্যুবারে ‘উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস পরিবর্তন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘খুঁজুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার যেসব শিক্ষার্থী অযোগ্য, তাদের ‘সম্পাদন’ (কলম আইকন) বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার ‘শিক্ষার্থীর বর্তমান স্ট্যাটাস’ অপশনে ড্রপডাউন বক্সে ‘নিষ্ক্রিয়’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এর পর স্ট্যাটাস পরিবর্তনের কারণ, যেমন: ৪৫ শতাংশের নিচে নম্বর পাওয়া, ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি, একাডেমিক স্তর অতিক্রম, বিয়ে বা ইত্যাদি এক বা একাধিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। পরে মন্তব্যের ঘরে নিষ্ক্রিয়করণের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে ‘সংরক্ষণ’ বাটনে ক্লিক করলে সফল ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে।

 

সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয়করণের বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করবেন। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে উপবৃত্তিপ্রাপ্তির অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয় করতে না পারলে বা কোনো অযোগ্য শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পেলে সৃষ্ট যেকোনো সমস্যার জন্য কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।