চুয়াল্লিশ বছর পর রাজধানীর বাউনিয়া বাঁধে পুনর্বাসিতরা জমির দলিল বুঝে পেলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে এখানে ৯২ দশমিক ৯৯ একর জমির ওপর দুই হাজার ৬০০ পরিবারকে পুনর্বাসিত করেন। প্রত্যেকটি পরিবারকে পৌনে এক কাঠা করে জমি দেয়া হয়।
বরাদ্দপ্রাপ্তরা জমির মূল্য পরিশোধ করলেও দলিল বুঝে পাননি। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। বাউনিয়া বাঁধ ঈদগাহ মাঠে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বস্তি অপসারণ করে সুন্দর নগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। সেইসব বস্তিবাসীকে অপরিকল্পিতভাবে উচ্ছেদ না করে তিনি এখানে পুনর্বাসিত করেন। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ঢাকায় আসা ছিন্নমূল পরিবারকেও তিনি বাউনিয়া বাঁধে আশ্রয় দেন। ছিন্নমূল পরিবারগুলোকে জমি বরাদ্দ দিয়ে তিনি ঠিকানা দেন।’
তিনি বলেন, ‘তারপর বহু সরকার এলেও বাউনিয়াবাসীর জমির দলিল কেউ বুঝিয়ে দেয়নি। আজ দলিল গ্রহণের মাধ্যমে বাউনিয়াবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠা হলো। তাদের সামাজিক মর্যাদাও উন্নত হলো।’
বর্তমান সরকার বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নত করতে বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে। এসব ফ্ল্যাটে বস্তিবাসীরা সহনীয় ভাড়ায় বসবাস করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী বস্তিবাসীদের জন্য ইতোমধ্যে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে ৫৫০টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। বস্তি জীবন অবসান ঘটাতে ভবিষতে আরও ফ্ল্যাট প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলেন মোশাররফ হোসেন।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান খন্দকার আখতারুজ্জামান।