৪০ ঘন্টা পর কাজে ফিরলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

৪০ ঘন্টা পর কাজে ফিরলেন বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসকরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি দা্‌ওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শনিবার বেলা ১১টায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।  হাসপাতালের একাধিক স্থানে অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য নিয়োগ এবং গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার অপ্রীতিকর ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে গত শুক্রবার থেকে তারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট পালন করছিলেন।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসায় অবহেলার কারণে ৯ মাসের অন্ত্মস্বত্ত্বা গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তা হামলা-পাল্টা হামলায় রুপ নিলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন বন্ধ করে দেন।

ইন্টার্ন ডক্টরর্স অ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি ডা. রাজু আহম্মেদ জানান, তাদের ৩ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।  জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত বৃহসপতিবার হাসপাতালের অপ্রীতিকর ঘটনা তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে সকালে সার্কিট হাউজে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুজ্জামান, শেবাচিম’র অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর সাহা, হাসপাতাল পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আব্দুল কাদির, জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ ইসতিয়াক হোসেন, স্বাচিপের সভাপতি ডাঃ কামরম্নল ইসলাম সেলিম, শেবাচিম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডাঃ শিখা সাহা. বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুর রউফ, ইর্ন্টান ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিস ডাঃ রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নাইদ হাসানসহ সংশ্নিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

 

মুখোমুখি ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা: বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিকেল কলেজের প্রধান অফিস সহকারীকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে গতকাল শনিবার কর্মচারী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় প্রশাসনিক ভবনে। সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি ডা. রাজু আহম্মেদের সাথে বাদানুবাদ হয় কলেজের প্রধান সহকারী আব্দুল জব্বারের। এক পর্যায়ে ডা. রাজু ও তার সহযোগীরা আব্দুল জব্বারকে লাঞ্ছিত করেন।  আব্দুল জব্বার মিয়া তৃতীয় শ্রেনী কর্মচারী সমিতির শেবাচিম শাখার সভাপতি। তাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি জানাতে শনিবার সমিতির কয়েকজন কর্মচারী অধ্যক্ষের কক্ষে যান। এ খবর পেয়ে ডাঃ রাজুর সহযোগীরা অধ্যক্ষের কক্ষে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ঘেরাও করে রাখে। ফলে কলেজে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর সাহা জানান, তিনি দুপক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হচ্ছে।