৩ মাস বন্ধ থাকার পর আবার অবৈধ বালু উত্তোলন?

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

মিজানুর রহমান সোহেল.

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর থেকে ৩য় দিনের মতো ড্রেজার মেশিন বসিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে বালু । এতে লাভবান হচ্ছে বালু উত্তোলনকারীরা । হুমকির মুখে নদীর তীর এলাকার বাসিন্দারা। নদীর তীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ব্যাপকভাবে। প্রায় ৩মাস বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে আবার উত্তোলন হচ্ছে বালু উত্তোলন । শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল বনগাঁও এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বালুখেকোরা । দুপুর আড়াইটার দিকে এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান ।

তিনি জানান,বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি । এদিকে সরকারি চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর ফের বালু উত্তোলন হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে, এসব অর্থলোভী- বালুখেকোদের খুটির জোর কোথায় । শনিবার দুপুর ১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল বনগাঁও এলাকা থেকে কুশিয়ারা নদীর উপর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ৩য় দিনের মতো অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, পারকুল গ্রামের বিবিয়ানা বিদ্যুৎ প্যান্ট সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীতে একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কয়েকটি বালু খেকো সিন্ডিকেট। কুশিয়ারা নদীর পানিতে ভাসমান ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে নদীর গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর পাড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

আশপাশের আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলেন, জেলা প্রশাসক থেকে … সরকারে বিভিন্ন দপ্তর এমনকি সর্বশেষ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি মন্ত্রী বরাবর অর্থলোভী বালুখেকোদের নামে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশের হয় ।

সংবাদটি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমার নজরে আসলে তার নির্দেশে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমির অভিযানে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে ২টি নৌকাসহ ৭ জনকে আটক করা হয়।। কিন্তু মূল হোতারা তখন থেকে এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছে। এর ঘটনার পর কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিলে। কিন্তু ফের বালু উত্তোলন হচ্ছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সরকারের রাজস্ব ফাঁকি বালু উত্তোলন ও নদী রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেন। এবিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, জনসাধারণের ক্ষতিসাধিত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই,অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।