চেক প্রতারণার মামলায় চলচিত্র অভিনেতা আহমেদ শরীফের ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইমান আলী শেখ এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২ এপ্রিল) এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এক লাখ ৬৭ হাজার টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে মোশারফ হোসেন সুমন নামের এক ব্যবসায়ী গত ৫ মার্চ মাসে এই মামলা দায়ের করেছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিনেতা আহমেদ শরীফ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। এর কারণ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমি জানতামই না আজ রায়ের তারিখ। আমার উকিল রয়েছেন। তিনিই এসব দেখাশোনা করে থাকেন।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে তা বানোয়াট। একটা গ্রুপ আমাকে ছোট করতেই এসব করছে। আজকে আমার হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলে আমাকে আমার উকিল নিশ্চয়ই জানাতেন। আজ আমার কোর্টে কোনো হাজিরা ছিল না। আমার হাজিরা থাকেলে আমি দেই। এই দেশে খালেদা জিয়াও হাজিরা দেন। আমার মতো নাগরিকের দিতে সমস্যা ছিল না।’
আজ মামলাটির রায় হয়েছে এবং আপনাকে ৩ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। আপনি কি শুনেছেন? এর জবাবে আহমেদ শরিফ বলেন, ‘না, আমি কিছুিই শুনিনি, কিছু জানিও না। আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালোনো হচ্ছে। উকিলের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’
প্রসঙ্গত, আহমেদ শরীফ বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে খল অভিনেতা হিসেবে নন্দিত এক নাম। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’। সুভাষ দত্ত পরিচালিত এ ছবিতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন আহমেদ শরীফ। তবে খলনায়ক হিসেবে ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় ‘বন্দুক’ ছবিতে। এ ছবিটি সুপারডুপার হিট হয়।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আহমেদ শরীফ টেলিভিশনের জন্য কিছু নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘ক্ষণিক বসন্ত’। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য তিনি নির্মাণ করেন নাটক ‘ফুল ফুটে ফুল ঝরে’।
পারিবারিক জীবনে এক কন্যার জনক তিনি। বর্তমানে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরে বসবাস করেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তিনি তার এলাকা কুষ্টিয়ায় কাজও শুরু করেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বিএনপি দলের সঙ্গে জড়িত। তিনি জাসাস সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।