ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আইন চূড়ান্ত হওয়ার আগে আইনটি নিয়ে আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মালিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথে কোনো বাধা থাকবে না।
৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা নিয়ে সবার মধ্যে একটা ভুল ধারণা ছিল। আইনটা অনুমোদন পেয়ে গেছে।
আইন পাসের প্রক্রিয়া তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেবিনেটে যে কোনো প্রস্তাব দুইভাবে বিবেচিত হয়। প্রথম নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়, তারপর এটি ভেটিংয়ে (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) চলে যায় ল’মিনিস্ট্রিতে। এখন এটি সে পর্যায়ে আছে।
আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেতে আবারও কেবিনেটে আসবে। কেবিনেট থেকে যাবে পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর খসড়া পাঠানো হবে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। এ সময় মিডিয়া মালিক ও স্টেক হোল্ডার রয়েছেন; তাদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ আছে। আলোচনার দরজাও খোলা আছে। কাজেই এ নিয়ে এ মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, এখানে আমাদের পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনা দেয়ার কোনো এজেন্ডা ছিল না। সুশাসনের জন্য সরকার এবং মিডিয়া কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। খোলামেলা পরিবেশে সবাই মন খুলে বলেছেন। আমরা শুনেছি আবার তাদের কাছ থেকে কিছু কিছু অবজারভেশন-কমেন্ট নিয়েছি।
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন। সরকার ও গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।