৩০ নভেম্বরের পর থেকেই অনিবন্ধিত অবৈধ অনলাইন নিউজপোর্টালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশনের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, যেসব অনলাইন পোর্টাল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করেছে তাদের ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে। ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের কাছে আসবে। যেসব নিউজ পোর্টাল ভুয়া তথ্য পরিবেশন করে, গুজব ছড়ায় তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে পোর্টালগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশে অবৈধ অনলাইন পোর্টালগুলোতে এত গুজব ছাড়ানো হচ্ছে, বলতে গেলে দেশ গুজবের কারখানায় পরিণত হয়েছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাদের সঙ্গে পেরে উঠা যাচ্ছে না। এদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। সেই জন্য আমরা কাজ করছি।
দেশের সব উন্নয়নের তথ্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সমস্যাগুলোও দ্রুত গতিতে বাড়ছে। আমরা গ্লোবাল বিশ্বে বাস করছি। দেশে বসে আমেরিকার খবর মোবাইলে পাচ্ছি। অনলাইনের প্রসার ঘটছে। প্রিন্ট মিডিয়ার তথা পত্রিকার চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেজন্য আমার অনলাইন মিডিয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। অনলাইন পোর্টাল নীতিমালাও তৈরি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ‘সালু আলমগীর সাহিত্য পদক’ দেওয়া এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণসহ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাইখ কাজী এ এম ইউসুফ জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক ছড়াকার আনজীর লিটন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র ডেইজী সারওয়ার, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক কবি আমিনুর রহমান সুলতান, দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা মো. তৈমুর মল্লিক, মহুয়ার সম্পাদক হামিদুর রহমান সখা প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী, কবি ও লেখক শাশ্বতী ভট্টাচার্য, শিশির দাশগুপ্ত, তপোব্রত মুখোপাধ্যায়।