৩০০ শিশুকে শীতবস্ত্র দিলো জুম বাংলাদেশ

:
: ৭ years ago

এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বস্ত্র নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০০ শিশুর মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সংগঠনটি।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জুম বাংলাদেশ স্কুলে শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি পিঠা উৎসব ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, ওয়ালটন গ্রুপের ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ, চিত্রনায়িকা শাহনুর, নায়ক সাইফ খান, সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শাহনুর শিশুদের জিন্স প্যান্ট উপহার দেয়ার এবং সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব শিশুদের নিয়ে ফিল্ম তৈরি করার ঘোষণা দেন।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এসটি শাহীন বলেন, এর আগের বছরগুলোতে শীতে আমরা স্কুলের সব শিশুকে কম্বল দিয়েছিলাম। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম চিন্তা করছি আমরা। আসলে কম্বল দিয়ে এই শিশুদের শীত নিবারণ করা সম্ভব না। কম্বল কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ হয়ে যায়। আর কম্বলের প্রয়োজন শুধু ঘুমানোর সময়। বাকি সময় তাদের কাটে প্রচণ্ড শীতে নিদারুণ কষ্টে।

তিনি বলেন, এ শীতে মূলত শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন পড়ে জ্যাকেটের যা তারা সারাদিন পরে থাকতে পারে। তাই এবার শীতে আমাদের সবচেয়ে বড় টার্গেট ছিল ৩০০ শিশুকে নতুন জ্যাকেট তৈরি করে দেয়া। আজ আমরা সফল। জুম বাংলাদেশ স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে জ্যাকেট তুলে দিতে পেরেছে।

স্কুলপড়ুয়া বাবু নামে এক শিশু বলে, অভাবের কারণে বাবা-মা আমাকে স্কুলে ভর্তি করতে পারেনি। এরপর এখানে পড়াশোনা করছি। পড়াশোনা করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের কথাও জানায় সে।

এদিকে শিশুদের নিয়ে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগত অতিথিরা সেটা উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি বস্তিতে ২০১৬ সালের ১১ মার্চ মাত্র ১৩ জন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুকে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘জুম বাংলাদেশ স্কুল’। রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পরবর্তী সময়ে গড়ে তোলা হয় ‘এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের ব্যানারে বর্তমানে গুলিস্তান, হাইকোর্ট, শহীদ মিনার ও পলাশীতে চারটি শাখায় ৩০০ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে পাঠদান করা হচ্ছে।