৩শ টাকায় ওয়ারিশ সনদ!

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে প্রতি ওয়ারিশ সনদে ৩শ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শাহজাহানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা দলিল লেখক কামরুজ্জামান তার নিকটতম দুই আত্মীয়ের জন্য ওয়ারিশ সনদের জন্য ওই ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেছিলেন । নিয়মমাফিক আবেদন করেও সনদপত্র নিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাকে। দুটো ওয়ারিশ সনদের জন্য তার কাছে ৬শ টাকা চাওয়া হয়।

 

কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় তিনি প্রতিবাদ করলে ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ও ইউপি সচিব আনোয়ার হোসেন তাকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেন।

কামরুল বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ পাঁচ সরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দায়ের করেছি। সরকার বিনামূল্যে ওয়ারিশ সনদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। শেষ মেষ টাকা ছাড়াই আমি সনদপত্র নিয়ে এসেছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো প্রত্যাহার না করায় প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণনাশকের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ওই ইনিয়নের নরেন্দ্রপুর এলাকার রাজাপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান ফটিক। তিনি জানান, জমি খারিজের জন্য তার দাদা, দাদি আর বাবার ওয়ারিশ সনদপত্র তুলেছেন ৯শ টাকার বিনিময়ে। একটি সার্টিফিকেটের ৩শ টাকা করে ৯শ টাকা দিতে হয়েছে সচিব আনোয়ার হোসেনের হাতে। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে রশিদ চাইতে গেলে আমাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়।

 

নরেন্দ্রপুর এলাকার সুজন পাড়ার আরেক বাসিন্দা রবিউল। তার শশুর একজন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও ৩শ টাকা দিয়ে পেয়েছেন তার শ্বশুরের ওয়ারিশ সনদ।

রবিউল বলেন, চলতি মাসের মে মাসের শেষের দিকে ৩শ টাকার বিনিময়ে আমার শ্বশুরের ওয়ারিশ সনদ পেতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের সচিব আনোয়ার হোসেন জানান, তারা ওয়ারিশ সনদ নিতে ১শ টাকা করে নেন।

 

ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম বলেন, কামরুজ্জামান আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে, সব মিথ্যা বলবো না,
আমরা ওয়ারিশ সনদে ১শ টাকা করে নিয়ে থাকি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফফাত জাহান রাইজিংবিডিকে বলেন, ওয়ারিস সনদপত্র নিতে কোন টাকা লাগে না। সকল ইউনিয়ন পরিষদ বিনামূল্যে এ সনদ দিয়ে থাকে। শাহজাহানপুর ইউনিয়নে ওয়ারিস সনদ তুলতে গিয়ে একজন হেনস্তার শিকার হয়েছে, এমন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।