ক্রিকেটে আগামী ২ বছরের জন্য হোম সিরিজের স্পন্সর হয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। এই সময়ে ঘরের মাঠে মোট ৬টি সিরিজ আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সিরিজগুলোর পাওয়ার্ড স্পন্সর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ওয়ালটন এবং কে স্পোর্টসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তিতে সই করেছেন কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ এমএ করিম এবং ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম। কে স্পোর্টসের গুলশান অফিসে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কে স্পোর্টসের পরিচালক আশফাক আহমেদ, ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ এবং কে স্পোর্টসের চিফ অপারেটিং অফিসার মাহবুবুর রশীদ।
চুক্তির আওতায় গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিংয়ে ওয়ালটনের পেরিমিটার বোর্ড, উইকেটের উভয় পাশে থ্রিডি বোলিং পিচ ম্যাট, মিড ওয়াল বোর্ড, বাউন্ডারি রোপ, সাইট স্ক্রিন, প্রেজেন্টেশন ব্যাক ড্রপ, রোমান ব্যানার ইত্যাদিতে ওয়ালটনের লোগো ও পণ্য প্রদর্শিত হবে। থাকছে আরো কিছু সুবিধা।
চুক্তি বিষয়ে কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ এমএ করিম বলেন, ‘ওয়ালটন এখন একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, গর্বিত বাংলাদেশি ব্র্যান্ড। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশ-বিদেশে ক্রিকেটের সঙ্গে আছে। তাদের সঙ্গে দুই বছরের জন্য হোম সিরিজের চুক্তি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা যৌথভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় সবগুলো বড় ইভেন্টের স্পন্সর ওয়ালটন। ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরেও ওয়ালটন প্রায় নিয়মিত। আমরা সব সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিজয় ঝান্ডা ওড়াতে চাই, সেই সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের ইতিবাচক ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করতে চাই।’ দীর্ঘমেয়াদী স্পন্সরশিপ চুক্তি করতে পারায় তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং কে স্পোর্টসকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, আগামী ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে ইনস্টেডিয়া রাইটস বা গ্রাউন্ডস রাইটস কিনে নিয়েছে কে স্পোর্টস। চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বাংলাদেশের হোম সিরিজ রয়েছে মোট ৬টি। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে রোববার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে প্রথম সিরিজ। এরপর আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। আফগানিস্তান আসবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। ২০২০ সালে দুবার অস্ট্রেলিয়ার আসার কথা। প্রথমবার ফেব্রুয়ারিতে, দ্বিতীয়বার মার্চে। তবে শেষ পর্যন্ত দুটো সিরিজ মিলিয়ে একটিও হতে পারে। আবার ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ে আসবে এক টেষ্ট ও পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলতে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি