২৮ ঘণ্টা পর শাবিপ্রবি ভিসির বাসভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বিচ্ছিন্ন করার প্রায় ২৮ ঘণ্টা পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে তারা সংযোগ চালু করে দেন।

বিষয়টি মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার রাত পৌনে আটটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। একই লাইনে কর্মচারীদের বাসার লাইন থাকায় সেগুলোরও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা অনুরোধ করেন সংযোগ চালু করে দিতে। তাদের বাসায় অসুস্থ রোগী ও শিশুদের সমস্যার কথা জানালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ সংযোগটি চালু করে দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোহামিনুল বাশার রাজ বলেন, উপচার্যের বাসভবনের পেছনে অর্ধশতাধিক কর্মচারীর বাসা রয়েছে। তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দিয়েছি।

এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার সন্ধ্যা থেকে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না তারা।

সোমবার অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে তার জন্য খাবার ও ওষুধ নিয়ে যেতে দেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষকরা উপাচার্য ও তার পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পানি ও ওষুধ নিয়ে মূল ফটকে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা ফিরিয়ে দেন। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।

গত ১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।

পরে ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে ২৩ জন শিক্ষার্থী।