২৭ বছর পর এ বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন জাহাজ ‘এম ভি বাংলার জয়যাত্রা’। ৩৯,০০০ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ক ক্যারিয়ারটি চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) কর্তৃক তৈরি হয়েছে। চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ওয়াক্সি শহরে সিএমসির শিপইয়ার্ড ‘জিয়াংসু নিউ ইয়াংজি শিপবিল্ডিং কোম্পানি লিমিটেডে’ এটি নির্মিত হয়েছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার উক্ত শিপইয়ার্ডে জাহাজটির লাঞ্চিং ও নামকরণ অনুষ্ঠান হবে। লাঞ্চিং অনুষ্ঠান শেষে জাহাজটি ৫ জুলাই দেশে এসে পৌঁছবে। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জাহাজটির লাঞ্চিং ও নামকরণ অনুষ্ঠানে যোগদানের লক্ষ্যে রোববার রাতে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

শাজাহান খান পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এম. তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম-প্রধান রফিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং বিএসসির পরিচালক (কারিগরি) মোহাম্মদ সায়েদ উল্লাহ।

উল্লেখ্য, চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় এক হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএসসির জন্য ৬টি জাহাজ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে। এতে চীন সরকার দিচ্ছে এক হাজার ৪৪৮ কোটি এবং বিএসসি দিচ্ছে ৩৯৫ কোটি টাকা। ছয়টি জাহাজের মধ্যে তিনটি অয়েল ট্যাংকার ও তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার। প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) বাকি পাঁচটি জাহাজের মধ্যে চারটি এ বছর এবং একটি আগামী বছরে বিএসসির বহরে যুক্ত হবে।

বিএসসির বহরে ৩৬টি জাহাজ ছিল, বর্তমানে রয়েছে ২টি।