আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম সমাপ্তির দিনে ২৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিভাগের পৌনে আট লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রথম ডোজের বড় পরিসরের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। তবে এরপরও প্রথম ডোজের বাইরে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা নিকটস্থ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রে এসব টিকা দেওয়া হবে। ওই দিনই বিশেষ কর্মসূচির আওতায় টিকা গ্রহণ করেননি—এমন লোকদের টিকা দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নয়টি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি করে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সিটি করপোরেশনের প্রতিটি কেন্দ্রে ৯০০ ও ইউনিয়নপর্যায়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ২ লাখ ৪৩ হাজার ও বিভাগের ৩৫২টি ইউনিয়নে ৫ লাখ ২৮ হাজার মানুষ টিকার আওতায় আসবে বলে আশা স্বাস্থ্য বিভাগের।
এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলার হাসপাতালে নির্ধারিত যে টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে, তার বাইরে অতিরিক্ত পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। জেলাপর্যায়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্র ছাড়াও ২০টি করে অতিরিক্ত ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ওয়ার্ডপর্যায়ে তিনটি করে দল কাজ করবে। ওই দিন টিকা নিতে কোনো নিবন্ধন বা জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবে না।
গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এক ভিডিও বার্তায় ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ গ্রহণের শেষ দিন ঘোষণা করেন। এ সময় এখনো যাঁরা টিকা গ্রহণ করেননি, তাঁদের টিকা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আজ শুক্রবার সকালে বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে সারা দেশে একযোগে এই কর্মসূচি হবে। সেটি বাস্তবায়নের সব ধরনের প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছেন। প্রচার-প্রচারণাও চলছে।