আগামী রবি ও সোমবার (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অবরোধের ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ ভোরে বিএনপির ডাকা ষষ্ঠ দফার দুই দিনের অবরোধ শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন অবরোধের ঘোষণা এল।
নতুন করে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে রোববার ভোর ছয়টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) অবরোধ পালিত হবে।
রিজভী তার বক্তব্যে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, দেশজুড়ে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নির্বিচারে। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাদের লোকজনও ধরা পড়ছে। কিন্তু তাদের ছেড়ে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে এনে দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে।
রিজভী বলেন, এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়া এখন নাগরিক দায়িত্ব। সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এই দেশে অতীতের ইতিহাসে দেখা গেছে, এখানে জুলমকারী, অন্যায়কারী বেশি দিন থাকতে পারে না।
রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের ৪১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় ১৭ জন আহত হয়েছেন। তিনি এসব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে দলটি। এর আগে, ছয় দফা অবরোধ ও দুই বার হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করতে না পারার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ, তৃতীয় দফায় ৮ ও ৯ নভেম্বর, চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর, পঞ্চম দফায় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর এবং ষষ্ঠ দফায় ২২ ও ২৩ নভেম্বর অবরোধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৯ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২১ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় দলটি।