গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গোটা বিভাগে মোট ছয়জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে গোটা বিভাগের ছয় জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৭৫৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ইমরান (২৪) নামে এক যুবক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ২৮৪ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৭১ জন শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালটিতে বর্তমানে ২০১ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন।
এছাড়া বরিশাল জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ৩৬ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলায় ৬৬ জন, ভোলায় ২৯ জন, পিরোজপুরে ৪০ জন, বরগুনায় ২৯ জন ও ঝালকাঠিতে ১৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী সব মিলিয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৭৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে চার হাজার সাতজন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ২৪৩ জন।
এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে ছয়জন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচজন এবং ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে। জনবলসহ নানা সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন।